মব জাস্টিস ও পাহাড়ে অরাজকতার বিরুদ্বে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

দেশজুড়ে

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪ ১০:১০ অপরাহ্ণ

রনি মিয়া,কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি :

ঢাবি,জাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সংগঠিত বিচারবহিভূত হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর ও বায়তুল মোকাররম সহ সারাদেশ পরিকল্পিত হামলা ও গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর(সোমবার) সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে কবি নজরুল সরকারি কলেজের মূল ফটকে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন ‘খুনিদের ঠাঁই নাই,এই সোনার বাংলায়’।রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়। বিচার বিচার বিচার চাই ‘খুনিদের বিচার চাই’। লাঠিয়ালদের আস্তানা এম্পাসে হবে না।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্যে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এম.জে.এইচ নোমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাহাড়ে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হচ্ছে এগুলো ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। আমরা জানি যে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের পতন হয়েছে। এখন যে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে, তাদেরকে ব্যর্থ করতে তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য তারা পূর্বের কায়দায় বিভিন্ন হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড,ও পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি। এই অস্থিতিশীল পরিবেশ আওয়ামী দোসররাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সৃষ্টি করছে। আমরা এই খুনিদের বিচার চাই। অবিলম্বে এই খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্যে গাইবান্ধা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সম্মানিত সভাপতি নাহিদ হাসান(সেশন ১৭-১৮, বিভাগ-বাংলা) বলেন,তোফাজ্জল ছিল সাধারণ মানুষ। আজ একটু সাইকোলজি প্রবলেম এ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিঃস্ব। তাকে যেভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হত্যা করে দেশে আরাজকতা সৃষ্টি করেছে ঠিক একই ভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রামে একই প্রসেসে তিনটি বর্বর ঘটনা প্রমাণ করে এগুলো একটা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহব্বান করব অতি শীঘ্রই এর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।তোফাজ্জল(ঢাবি), জাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যাকারী খুনিদের বিচার বাংলার জমিনে করতেই হবে।বিচার করে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে যেন আগামীতে এমন বিচার বহির্ভূত হত্যার সাহস কেউ না পায়।স্বৈরাচারী সরকার পালানোর পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে, আমরদেরকে তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা কার্ম্য।কিন্তু আমাদের দেশে কিছু মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড সহ সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারি আইনে গ্রেপ্তার করে খুনিদের ফাঁসি কার্যকর করে দৃষ্টান্তমূলক মূলক শাস্তি স্থাপন করতে হবে।

‘এই সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, খুনিদের ঠাঁই নাই এই সোনার বাংলায়’ স্লোগানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *