এপ্রিল ২৬, ২০২২ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ
প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু ভিন্নতা রয়েছ্র। তবে সবচেয়ে বেশি যে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় সেটি হচ্ছে চরিত্র। সব মানুষ চরিত্রের এক হয় না। একেকজনের চরিত্র বা ব্যক্তিত্ব একেক রকম। কেউ খুব মিশুকে স্বভাবের, আবার কেউ একটু একা থাকতেই পছন্দ করেন। তবে ব্যক্তিত্ব চার ধরনের, এমনটাই জানা গেছে এক গবেষণায়।
বিশ্বখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদ ব্রিটেনের পারপেতুয়া নিও এই সংক্রান্ত একটি অভিজ্ঞতা নিয়েই সমীক্ষা করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন তিনি। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি। সেই ভিত্তিতেই তিনি জানিয়েছেন, মানুষের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার কথা।
সারা বিশ্বে তার নানা ব্লগ শেয়ার হয়ে থাকে। প্রচুর অনুরাগীও রয়েছে নিও-র। তার কথায়, মানুষের ব্যক্তিত্ব আসলে চার রকম, বাকি পুরোটাই ওই এক বৈশিষ্ট্যকে ঘিরেই গড়ে ওঠে। মূলত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যের দিকগুলোই নিও তুলে ধরেছেন। এবার মিলিয়ে দেখার পালা যে আপনার সঙ্গে মিল রয়েছে কোনটার!
টাইপ- এ
খুব ছটফটে, মারাত্মক প্রতিযোগিতার মনোভাব রয়েছে তাদের মধ্যে। পরিকল্পনা করে কাজ করতে খুব পছন্দ করেন এই জাতীয় ব্যক্তিত্বের মানুষরা। সব সময় মানুষকে তারা অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। কারো গুণ থাকলে তা প্রকাশে সাহায্যও করেন।
টাইপ- বি
তুলনামূলক ভাবে শান্ত প্রকৃতির তারা। খুব সহজে রেগে যান না। এ ধরণের মানুষ বেশ মিশুকেও। কথাবার্তায় একটা উষ্ণতা রয়েছে। মানুষ তাদের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করেন। তাদের সঙ্গে দেখা হলেই বেশ একটা ভালো লাগা তৈরি হয়, জানান নিও। প্রাণোচ্ছল এই মানুষগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল।
টাইপ- সি
টাইপ এ-র মতো এই ব্যক্তিরাও রুটিনমাফিক কাজ করতে পছন্দ করেন। যাকে বলে পারফেকশনিস্ট। কিন্তু তারা একা সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করেন। তারা যে মিশুকে নন, এমনটা নয়। তারা অত্যন্ত যত্নশীল। বিজ্ঞানী, বিমান চালক, হিসাবরক্ষকরা সাধারণত এই প্রকৃতির মানুষ হন, মত নিওর।
টাইপ- ডি
এই টাইপের মানুষগুলো একটু দুঃখী প্রকৃতির। নিজের আবেগ সম্পর্কেও তারা সচেতন নন। মজা করে বলা কথাও তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে মনে করেন। অত্যন্ত সংবেদনশীল। সারাক্ষণ তাদের ভেতরে একটা চিন্তা কাজ করে। অন্যদের তুলনায় এরা স্বপ্নের জগতে বেশি বিচরণ করে। এরা অন্যের পাশে দাঁড়াতেও পছন্দ করেন।
নিও জানিয়েছেন, মানুষ নিজে যেরকম, তা যদি বুঝতে পারেন, সে ভাবেই নিজেকে গড়ে নিতে পারবেন। নিজের ভালো দিকগুলো বুঝতে হবে। কারণ প্রতিটি মানুষের মধ্যেই ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্যই ঠিক করে দেয় তার ব্যক্তিত্ব।