বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট ও চার্লি মুঙ্গার। শনিবার (৩০ এপ্রিল) মার্কিন বহুজাতিক হোল্ডিং কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের বার্ষিক সম্মেলনে বিটকয়েনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।
ওয়ারেন বাফেট বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে বিশ্বের সমস্ত বিটকয়েন ২৫ মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই হাজার টাকার কিছু বেশি) বিনিময়েও কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন, আমি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করব না। এটা (বিটকয়েন) দিয়ে আমি কী করব?’
বিটকয়েনের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি জমি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট কেনাও লাভজনক বলে মনে করেন ওয়ারেন বাফেট। তার মতে, বিটকয়েনের কোনো মূল্য নেই। কারণ, এটি উৎপাদনশীল কিছু নয়। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আরও কঠোর মনোভাব দেখালেন ওয়ারেন বাফেটের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার চার্লি মুঙ্গার। তিনি বলেন, আমি জীবনে এমন জিনিসগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি যা আমাকে অন্যের সামনে বোকা এবং খারাপ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করে। আর বিটকয়েন এর সবগুলো কাজই করে।
মার্কিন এই ধনকুবেরের মতে, বিটকয়েন রাখা বা এর লেনদেন ‘বোকামি’। কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্য শুন্যের কোঠায় চলে যাবে। আর এটি মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থার অখণ্ডতা এবং স্থিতিশীলতাকে ক্ষুন্ন করে বলেও মনে করেন মুঙ্গার। চীনের মতো যেসব দেশ বিটকয়েন নিষিদ্ধ করেছে, তাদের ‘যথেষ্ট স্মার্ট’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
এর আগে বিটকয়েনকে একটি ‘মূল্যহীন বিভ্রম’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন ওয়ারেন বাফেট। আর ক্রিপ্টোকে যৌনরোগের সঙ্গে তুলনা করে, যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন চার্লি মুঙ্গার।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারতসহ বিশ্বের ৬৯টি দেশে সরকারি স্বীকৃতি নিয়ে চলছে বিটকয়েনের লেনদেন। তবে বাংলাদেশেসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিটকয়েন লেনদেন নিষিদ্ধ।