দুই বছর পর ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধানে ঈদগাহর সার্বিক প্রস্তুতি ও সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, জামাত আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি জামাতে অংশ নিতে পারবেন।
মেয়র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে করোনা মহামারিকে অতিক্রম করে প্রায় দুই বছর পরে আমরা আবারও জাতীয় ঈদগাহে ঢাকাবাসী ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারব। সে আয়োজন আমরা করেছি। ঢাকাবাসীকে আহ্বান করছি, জাতীয় ঈদগাহ এসে ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য। সেই জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
নিরাপত্তার বিষয়ের কথা তুলে ধরে তাপস বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করেছেন, জাতীয় ঈদগাহ সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর একটি আয়োজন ও পরিবেশ সৃষ্টি করছি যাতে করে আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজ জাতীয় ঈদগাহে ঢাকাবাসী তাদের প্রথম ঈদের নামাজ জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারে।’
‘আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে জেনেছি, সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের প্রধান জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের আয়োজনে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করতে পারবে। সমগ্র ঢাকাবাসীকে আমন্ত্রণ করছি, যাতে করে জাতীয় ঈদগাহে এসে সবার সঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করতে পারে। মহিলাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মহিলা মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।’
মেয়র তাপস বৈরী আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘আবহাওয়ার একটি আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও আমরা পুরোটাই ট্রিপল (বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা) দিয়েছি, যাতে করে কোথাও ঝড় বৃষ্টি যদি হয় তাহলে ভেতরে যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেই সব কিছু বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’