মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতি বছর ভাইরাসটি প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন- বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে করোনাসহ সব ধরনের টিকা যাতে দেশেই তৈরি হয়, সে জন্য টিকা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার রাজধানীর তিতুমীর কলেজে বিডিএস পরীক্ষা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছর করোনার টিকা দিতে হলে ১৩ কোটি মানুষের জন্য ১৩ কোটি টিকা লাগবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি। তবে দ্রুত যাতে টিকা উৎপাদন করা যায় সেই প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের বিডিএস পরীক্ষায় সরকারি-বেসরকারিভাবে সারা দেশের ২৬টি কেন্দ্রে মোট ৬৫ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। যেখানে মোট আসন ১ হাজার ৯৫০ টি। এর মধ্যে সরকারি ৫৪৫টি ও বেসরকারিতে ১ হাজার ৪০৫টি। প্রতিটি আসনে গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জন। পরীক্ষা প্রশ্নপত্র বিতরণ ও পরীক্ষা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কলেরার টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিস্তারিত বলতে পারেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে যে সব জায়গায় কলেরার প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব এলাকায় দ্রুত টিকা দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
সম্প্রতি করোনার টিকা ক্রয় ও পরিচালন ব্যবস্থাপনায় টিআইবির প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার গড় মিলের প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। সব কিছু দেখে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানানো হবে।