রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ অ্যাখা দিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান প্রসিকিউটর কার্লা দেল পন্তে।
সুইস পত্রিকা লা টেম্পসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান পন্তে। সাক্ষাৎকারটি শনিবার (২ এপ্রিল) প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ।
স্পষ্টভাবে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে পন্তে জানান, তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলাকালে গণকবর দেখে হতবাক হয়েছেন, যা তাকে সাবেক যুগোস্লাভিয়া যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ব্লিক নামে সুইস-জার্মান ভাষার এক সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, আবার কখনো গণকবর দেখব তা আশা করিনি। কোনো কারণেই যুদ্ধ কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রসিকিউটর কার্লা দেল পন্তের মতে, ইউক্রেনে চিহ্নিত অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, বেসামরিক ভবন এবং পুরো গ্রাম ধ্বংস করা অন্যতম।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। বুধবার (১৬ মার্চ) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করছেন পুতিন। তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী।
সিএনএন জানায়, ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের ব্যাপারে নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বাইডেন। আগে পুতিনের ইউক্রেন অভিযানের কঠোর সমালোচনা করলেও যুদ্ধাপরাধ প্রশ্নে বাইডেন ও মার্কিন সরকারের অন্য কর্মকর্তারা চুপই ছিলেন।
বাইডেনের মন্তব্যের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন সঠিক মন্তব্যই করেছেন। তিনি হৃদয় থেকেই এ কথা বলেছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসাবে আখ্যায়িত করে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস করে মার্কিন সিনেট। এ সময় কংগ্রেসের সকল সদস্য ঐক্যবদ্ধভাবে ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। সিনেটে নিন্দা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। উভয়পক্ষের সিনেট সদস্যরা তা সমর্থন করেন।