মোঃ আব্দুল হান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পূর্ব শত্রুতা ও জোরপূর্বক বাড়ি দখলে বাধা দেয়া প্রায় নব্বই বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে ও কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্বরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ নভেম্ভর ২০২৩ বিকাল অনুমান ২ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে।
আহত ব্যাক্তির নাম মোঃ ডুগন মিয়া (৯০)। তিনি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় তার ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে তার প্রতিবেশী জিতু মিয়ার ছেলে মুশির্দ মিয়া( ৪০) গোলাপ মিয়ার স্ত্রী জাহেরা বেগম (২৮) মুর্শিদ মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৬) ও কামার মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪৫) ঘটনার সময়ে ডুগন মিয়ার বাড়ির সীমানা ও গোয়াল ঘরে বিছানো ইট জোরপূর্ব তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। তাছাড়াও বাড়ির সীমানার বেড়া ও ডুগন মিয়ার ঘর দরজা বাইড়াইয়া ভেঙ্গে ফেলে বাড়ি ঘর তাদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করছিল।এ সময় ডুগন মিয়া আগাইয়া গিয়ে বাঁধা দিলে তখন মুর্শিদ মিয়ার হাতে থাকা দা দিয়ে কুপ মারে।সেই কুপ ডুগন মিয়া হাত দিয়ে ফিরাইতে গেলে বামহাতের কনুইর নীচে পড়ে হাড় সহ কেটে যায়। তখন অন্যান্যরা মিলে বৃদ্ধ ডুগন মিয়াকে মাঠিতে ফেলে এলোপাথারী ভাবে মেরে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আহত করে।পরে আবারো মুর্শিদ মিয়া তার হাতে থাকা লাঠি দ্বারা বাড়ি মেরে ডুগন মিয়ার বাম হাতটি ভেঙ্গে ফেলেন। দুর্বৃত্বা এ সময় ডুগন মিয়ার ঘর জরদা বাইরাইয়া ভেঙ্গে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।ডুগন মিয়ার চিৎকারে প্রতিবেশীর আগাইয়া এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন।বর্তমানে ডুগন মিয়ার অবস্থা আশংকা জনক বলে তার পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নুরে আলম জানান, লিখিত এজাহার পেয়েছি,প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।