২০১৯ সাল থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ড ব্যালেন্সিং, ফুটবল ফ্রি স্টাইল ও বঙ্গবন্ধু ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ক্যাটাগরিতে ২০ বার নাম লিখিয়েছেন নোয়াখালীর কনক কর্মকার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক সর্বোচ্চ অর্জন। কনকের লক্ষ্য, ১০০টি রেকর্ডের মাইলফলক স্পর্শ করা। তার এই লক্ষ্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা ও সরকারি সহযোগিতা চেয়েছেন সম্ভাবনাময়ী এ যুবক।
এক বা দুবার নয়, একে একে ২০ বার বিশ্বদরবারে সেরা হওয়ার খাতি অর্জন করেছেন নোয়াখালীর কনক কর্মকার। গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে শুধু নিজের নামটি নয়, বিশ্বে তুলে ধরেছেন নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের নামও। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি সাড়ে ১১০০ ওয়ান টাইম কাপ কপালে রেখে গিনেস বুকে নাম লেখানোর যাত্রা শুরু হয় কনকের। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার সবশেষ অর্জন ফুটবল কন্ট্রোল ক্যাটাগরিতে। গিনেস বুকে দেশের সর্বোচ্চ অর্জন নোয়াখালীর কনকের লক্ষ্য এখন শতাধিক রেকর্ড স্পর্শ করা।
এ পর্যন্ত ব্যালেন্সিং ক্যাটাগরিতে ১০টি, ফ্রি ফুটবল স্টাইলে ৯টি ও বঙ্গবন্ধু ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ক্যাটাগরিতে তার অর্জন ১টি। গৌরবজনক এ অর্জনে কনক উৎসাহ পেয়েছেন বিশ্বদরবারে খ্যাত অ্যাথলিটদের সাফল্য দেখে। ইউটিউবে যাদের ভিডিও দেখে আজ এত অর্জন, কনক তাদের মধ্যে ফুটবল ফ্রি স্টাইলে এন্ডো হ্যান্ডারসন ও ব্যালেন্সিং ক্যাটাগরিতে আইডল হিসেবে আড়াইশ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী মার্কিন নাগরিক ডেভিড রাশ-কে অনুসরণ করেছেন। কনকের লক্ষ্য দুই ক্যাটাগরিতে ১০০টি রেকর্ড স্পর্শ করা।
২০টি অর্জনের পরও নিজের দেশে সরকারিভাবে কোনো স্বীকৃত না পাওয়ায় হতাশ কনক। সরকারের সহযোগিতা পেলে দ্রুততম সময়ে শতাধিক রেকর্ডের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করেন এই যুবক।
ক্রীড়াঙ্গনে আলো ছড়ানো এমন প্রতিভাবানদের কাজ আরও গতিশীল করতে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা জেলা ক্রীড়া সংগঠকদের। ইতোমধ্যেই কনককে জাতীয়ভাবে সহযোগিতার আশ্বাসও দিচ্ছেন তারা। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কনক নিজেকে অনেক দূর নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশকে এনে দেবেন গৌরবময় সাফল্য।