ইউক্রেনের খারকিভের অঞ্চালে গেলে উন্মুক্ত মর্গের অনুভূতি হবে। সেখানে লাশগুলো পড়ে আছে। কেউ তাদের খোঁজ করছে না। কখনো কখনো লাশগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরে পড়ে আছে, যেহেতু ইউক্রেনীয় ও রুশ বাহিনী ভূমি দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত আছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উভয় পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শহরের বাইরে দেখা যায়, আই-বিম দিয়ে তৈরি ক্রস চিহ্নের মতো একটি অ্যান্টিট্যাংক প্রতিরক্ষা বেড়ার ওপর অজ্ঞাতপরিচয় একজন ব্যক্তির পোড়া লাশ ঝুলে আছে। সেখানে মৃত সেনাদের লাশও পড়ে রয়েছে, তারা দৃশ্যত রাশিয়ান। তাদের মধ্যে চারটি লাশ জেড চিহ্নিত রাশিয়ান সাঁজোয়া যানে পড়ে ছিল। রুশ ড্রোনগুলো ক্রমাগত মাথার ওপর দিয়ে উড়ছিল। একটি অ্যাপার্টমেন্টের দরজা খুলতেই ভেতরে পাওয়া গেল তিনটি লাশ।
সুনির্দিষ্টভাবে এই মৃত্যুগুলোর কোনটি কীভাবে ঘটেছে সেটা সম্ভবত কখনও জানা যাবে না।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমাগত রুশ হামলার মধ্যে রয়েছে।
পরবর্তীতে তাদের পরিচয় জানার জন্য তদন্ত হলে হয়তো পরিবারকে জানানোর চেষ্টা করা হবে।
কিন্তু তাও জট ছাড়ানও কঠিন। ইউক্রেনীয় চিহ্ন সম্বলিত একজন ব্যক্তির লাশের সঙ্গে একজন রাশিয়ান সেনার পরিচয়পত্র রয়েছে। যে অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ভয়ঙ্করভাবে গোলাগুলি করা হয়েছিল। তবে কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
সর্বত্র গোলাগুলি এবং বিমান হামলা চলছে, প্রত্যেকের জন্য প্রতিটি দিন হুমকিস্বরূপ। মৃত্যু যেকোনো সময় আসতে পারে। কেন এ হত্যা তার জবাব দেয়ার জন্যও আশপাশে কেউ থাকবে না।
এটা ছিল যুদ্ধকালে মৃত্যু ও নৃশংসতার বিরল এক ঝলক। পূর্ব ইউক্রেনের উদ্ভূত যুদ্ধের সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া কঠিন, কারণ বিমান হামলা ও গোলন্দাজ বাধা সাংবাদিকদের পক্ষে চলাফেরা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
সূত্র: এপি নিউজ