ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাতে স্কাই নিউজ এমন খবর দিয়েছে।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাজধানী কিয়েভ থেকে রাশিয়ার পিছুহটা, হাজারো সেনা নিহত ও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখনো ক্ষমতায় থাকা বিবেচনায় নিলে এই যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য অবমাননাকর কিনা। জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে যা চলছে, তা নিয়ে এটি একটি ভুল বোঝাপড়া রয়েছে।
তাকে আবারও জিজ্ঞাসা করা হয়, রাশিয়ার হাজারো সেনা নিহত হয়েছে কিনা। তখন তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেনা হারিয়েছি। যা আমাদের জন্য বড় বেদনাদায়ক।
শুভেচ্ছার নিদর্শন ও উত্তেজনা কমিয়ে আনতে কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ থেকে সেনাপ্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেন, ইউক্রেন রাশিয়াবিদ্বেষী হওয়ায় ও ন্যাটো রুশ সীমান্তমুখী সম্প্রসারিত হওয়ায় এই সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এর আগে এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। যদিও এখন পর্যন্ত নিহতদের পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে ন্যাটো কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, এই অভিযানে সাত হাজার থেকে ১৫ হাজারের মতো রুশ সেনার প্রাণহানি হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারাও একই মত দিয়েছেন।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নতুন ও ভিন্ন এক ধাপে প্রবেশ করেছে। ন্যাটোমিত্রদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি জানান, ইউক্রেনকে লড়াইয়ে সহযোগিতা করতে আরও ভারী সরঞ্জাম সরবরাহে একমত হয়েছে পশ্চিমা জোটটির কর্মকর্তারা।
ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার যুদ্ধকৌশল পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু তার লক্ষ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তিনি পুরো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন।