ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে ১ হাজার ৩৫১ জন রুশ সেনা নিহত এবং ৩ হাজার ৮২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাতে স্কাই নিউজ এমন খবর দিয়েছে।
দিমিত্রি পেসকভকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাজধানী কিয়েভ থেকে রাশিয়ার পিছুহটা, হাজারো সেনা নিহত ও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখনো ক্ষমতায় থাকা বিবেচনায় নিলে এই যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য অবমাননাকর কিনা। জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে যা চলছে, তা নিয়ে এটি একটি ভুল বোঝাপড়া রয়েছে।
রাশিয়ার হাজারো সেনা নিহত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেনা হারিয়েছি। যা আমাদের জন্য বড় বেদনাদায়ক।
শুভেচ্ছার নিদর্শন ও উত্তেজনা কমিয়ে আনতে কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ থেকে সেনাপ্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেন, ইউক্রেন রাশিয়াবিদ্বেষী হওয়ায় ও ন্যাটো রুশ সীমান্তমুখী সম্প্রসারিত হওয়ায় এই সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এর আগে এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। যদিও এখন পর্যন্ত নিহতদের পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে ন্যাটো কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, এই অভিযানে সাত হাজার থেকে ১৫ হাজারের মতো রুশ সেনার প্রাণহানি হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারাও একই মত দিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিখাইল মিজিন্তসেভ সাংবাদিকদের জানান, যুদ্ধ শুরুর পরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক, লুহানস্কসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৬ জন বেসামরিক মানুষকে রাশিয়ায় সরিয়ে আনা হয়েছে। সরিয়ে আনা ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৮ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। রয়েছেন ৯ হাজার বিদেশি।
মিখাইল মিজিন্তসেভ বলেন, ইউক্রেন থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের সরিয়ে আনার জন্য পথ খোলা রাখবে রাশিয়া।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর জল, স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।