পাকিস্তানের জনগণের প্রতি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়ে রোববার (১০ এপ্রিল) দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রাস্তায় নামতে বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই সঙ্গে একটি ‘আমদানি করা সরকারের’ বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করারও আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘বিদেশি শক্তিগুলো পাকিস্তানে নমনীয় একজন প্রধানমন্ত্রী চায় এবং সে কারণেই তারা আমাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’ খবর এনডিটিভির।
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করে ইমরান আরও বলেন, ‘আমরা ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশ। এটা অপমানজনক যে বাইরে থেকে কেউ এই ২২ কোটি মানুষকে এই নির্দেশ দিচ্ছে যে কী করতে হবে।’
গত ৩ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এক রায়ে কাশিম সুরির ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে শনিবার (৯ এপ্রিল) ফের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি করার আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
বিষয়টি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া ভাষণে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘এ রায়ে আমি অসন্তুষ্ট, তবে রায় মেনে নিচ্ছি। কিন্তু বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি তাদের (আদালতের) দেখা উচিত ছিল। রায় দেওয়ার আগে বিষয়টি একবার হলেও দেখা উচিত ছিল।’
শনিবারের (৯ এপ্রিল) ভোটে হারলে পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানো প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন ইমরান খান। বিরোধীরা তখন তাদের নিজেদের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করার মাধ্যমে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারে, যে তারিখের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।