মোঃ ফারদিন সিয়াম
সময়ের জন্য জীবন, জীবনের জন্য সময়। সময়কে মূল্যায়নহীন করলে জীবনে অনেক পিছিয়ে পড়তে হয়। গণমানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে পরিবহন। বিশেষভাবে রাজধানীর ঢাকার গণপরিবহন বাস রাজধানী বাসীর গন্তব্যে পৌছানোর স্বস্তির আরেক নাম।
এ যেন স্বস্তির ভেতরেই ভোগান্তি।
নানা অনিয়ম মাত্রাহীনভাবে যাত্রী উঠানামা, স্টপেজ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বাস থামানো আজকাল স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেই প্রতিবাদ! আছে ঊর্ধ্বমুখী ও সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রতিকারের স্বপ্ন। শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, বিভিন্ন পেশার মানুষ ছুটছে তাদের গন্তব্যে অবিরাম।
জীবনের জন্য কর্ম। কর্মেই জীবন। তাইতো জনগণ আস্থা ও পথ খুজে নিতে ব্যস্ত গণপরিবহনে বাসের নিকটে।
চালকদের অদূরদর্শী অনীহা ও হেলপারদের অসহযোগিতামূলক আচরণ ও যাত্রী তোলা লোভতারণায় ভাড়ার লোভে ব্যয়িত হচ্ছে বহু কর্মঘন্টা।
বিশেষভাবে বাস চালকরা ট্রাফিক আইন মানতে নারাজ, অসন্তোষ। তারই ফলশ্রুতিতে সড়কে ঘটছে বহুমুখী দুর্ঘটনা, যততত্র ওভারটেকিং ও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার অন্যতম কারণ।
একজন চাকুরিজীবী বিলম্বে অফিস-আদালত তথা তার কর্মস্থলে পৌছাল মুখোমুখি হতে হয় নানা রকমের জবাবদিহিতা ও প্রশ্নের।
তাছাড়া চলমান শিক্ষার্থীরা পার্ট-টাইম জব, টিউশনি ইত্যাদি কর্ম করে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে ও পরিবারকে সমথর্ন করার প্রচেষ্টা ব্যকুল। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে শিক্ষার্থীদেরও বহু মূল্যবান কর্মঘন্টা ব্যয় হচ্ছে।
প্রয়োজন জাগ্রতবোধ সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য প্রয়োজন প্রতিবাদ। বাস পরিবহন ও সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতাই যাত্রী তথা কর্মজীবী সর্বসাধারণের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
“সময় অপচয় রোধ করি
সময়কে মূল্যায়ন করে আর্দশ ভবিষ্যত গড়ি”।
– মোঃ ফারদিন সিয়াম
(শিক্ষার্থী) সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ,ঢাকা।