নভেম্বর ২৪, ২০২৩ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
কখনো আকাশের মতো নীল, কখনো আয়নার মতো স্বচ্ছ- এমন স্নিগ্ধ রঙে রাঙা পানিতে টইটুম্বর হাওর-বাঁওড়। দূরে মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়, ঝরনা থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানি, অগণিত পাখির কলতান আর করচ-হিজল বনের অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার দেখা যাবে শুধু টাঙ্গুয়ার হাওরেই।
টাঙ্গুয়ার হাওর মূলত সুনামগঞ্জ জেলার ৫১টি বিলের সমন্বয়ে গঠিত।
টাঙ্গুয়ার হাওরের রূপের বিবরণ লিখে শেষ করার মতো নয়। বর্ষা ও শীত- দুই মৌসুমে দুই রকমের সৌন্দর্যে অপরূপ হয়ে ওঠে এ হাওর। তবে পর্যটকদের মতে, এই হাওর তার আসল সৌন্দর্যে সাজে বর্ষাকালে। এ সময়ে পানিতে থই থই করে চারদিক। চাইলে নৌকা থেকে নেমে লাইফ জ্যাকেট পরে সাবধানতার সঙ্গে ভেসে বেড়ানো যায় পানিতে, আর উপভোগ করা যায় আশপাশের সবুজের মহিমা। কিছু কিছু জায়গায় এই হাওরের পানি এতটাই স্বচ্ছ যে পানির নিচের জলজ উদ্ভিদ কিংবা মাছ দেখা যায় খালি চোখেই।
প্রতিটি মৌসুমে হাওর যেমন সাজে ভিন্ন রূপে, তেমনি প্রতি বেলাতেও এর সাজ একেক রকম। ভোরবেলা হাওর থাকে সুনসান এবং স্নিগ্ধ, কিছুক্ষণ পর হাওর হয়ে ওঠে পাখির কলকালিতে পূর্ণ। দুপুর ও বিকেলে দেখা যায় হাওর ও এর চারপাশের বাসিন্দাদের যাপনচিত্র। আর সূর্য ডোবার সময়ে সম্পূর্ণ হাওর ঢেকে যায় সোনালি রঙের চাঁদরে। রাতের ঝকঝকে আকাশে মিটমিট করে তারার মেলা।
সৌন্দর্যের এই আমেজে মেতে ওঠেন নৌকার মাঝি নিজেও। তাই সন্ধ্যার পর এই হাওরে প্রায়ই বসে বাউলগানের আসর।
কল্পনার চেয়েও অপরূপ সুন্দর এই হাওরের রূপের বর্ণনা শুরু করা হলেও লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। এজন্যই হয়তো ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দ তালিকার প্রথম দিকেই আছে টাঙ্গুয়ার হাওর। সৌন্দর্যের এ রাজ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার, প্রিয়জন কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পছন্দের ট্যুর বুক করতে পারবেন অনলাইনেই।