এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: তদন্তের স্বার্থে সব বলা যাচ্ছে না: হারুন

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: তদন্তের স্বার্থে সব বলা যাচ্ছে না: হারুন

জাতীয় স্লাইড

মে ২৮, ২০২৪ ৪:১৬ অপরাহ্ণ

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব জানানো সম্ভব হচ্ছে না।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউনের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

এমপি আজিম হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, (কলকাতার) সিআইডি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রথমে তারা যে খালটির কথা বলেছিলেন, সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে সার্চ করেছেন। আজও সার্চ করছেন। তারা কাজ করছেন।  আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। আমরা কয়েকটি বিষয়ে তাদের অনুরোধ করেছি। সঞ্জীবা গার্ডেনসের পাশে একটি হাতিশালা লেক রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি, সেখানেও যেন খোঁজ করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা আরেকটি অনুরোধ করেছি। যে বাসায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ঢুকেছিলেন, সেখানে যেন সার্চ করা হয়। সেখানে যে তিনটি কমোড রয়েছে, সেগুলো ফ্ল্যাশ করলে ময়লা যেখানে জমা হয় এবং স্যুয়ারেজ লাইন ভাঙতে বলেছি। আশা করি, ওনারা এই কাজগুলো আজই করবেন।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, সিআইডি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে লাশের অংশগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে। এখন আপনারা যেটা বলছেন, লাশ না পাওয়া গেলে কি মামলা নিষ্পত্তি হবে না? না। দেখেন, ভারত মহাসাগরে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে। তারা তিন বছর ধরে ৪৬ হাজার বর্গমাইল এলাকা সার্চ করেছে। তারপরও কিন্তু পায়নি। এটার অর্থ হল- যদি (লাশ) পাওয়া না যায়, তাহলে কি অ্যাকনলেজ (স্বীকৃতি) হবে না? এটার কোনো সমাধান হবে না? আমি জানি, সিআইডি প্রত্যেকটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করে কাজ করছে। আমাদের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের যে মূল ঘাতক রয়েছে, সেও কিন্তু অনেক তথ্য দিয়েছে। পাশাপাশি যে মেয়েটা ছিল, সেও আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছে। এই তথ্যগুলো নিয়েই আমরা বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছি। কলকাতায় এসে ওই আসামির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তথ্য মিলিয়ে দেখেছি। তারপরে ওই আসামিকে আমরা ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছি। সেখানে গিয়েও আমরা যে তথ্যগুলো নিয়ে এসেছিলাম, তার হুবহু মিল পেয়েছি।

ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার এ কর্মকর্তা বলেন, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আসামিদের বিভিন্ন বিষয়গুলো তদন্তকারী কর্মকর্তা আমলে নেবেন। তারপর আদালতে পাঠালে আদালত সেটি আমলে নেবেন। সব মিলিয়ে এই লোমহর্ষক হত্যকাণ্ডের বিচার খুব কষ্টকর হবে বলে আমি মনে করি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *