নোয়াখালীতে ছাত্রদের হাত থেকে ত্রাণ সামগ্রী ছিনিয়ে নিল বিএনপির সভাপতি

দেশজুড়ে

আগস্ট ২৮, ২০২৪ ২:১৮ অপরাহ্ণ

রিপন মজুমদার, নোয়াখালী।।

নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.একরামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রীর ৬০০ প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় বিএনপি নেতা একরামের অনুসারীরা এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও আরেকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে সেনবাহিনী ও কবিরহাট থানার একদল পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া ত্রাণ গুলো উদ্ধার। এর আগে,একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এ তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটক মো.সৌরভ (১৮) উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের দই বাড়ির জাহের হোসেনের ছেলে।

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তাসরিফউর রহমান ওরফে নিহাদ অভিযাগ করে বলেন, উপজেলার কালামুন্সি বাজার এলাকার ছাত্ররা ঢাকা থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে নিজেদের এলাকার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট গুলো কালামুন্সি বাজারে আসে। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম নানা অজুহাতে ছাত্রদের ত্রাণ গুলো ছিনিয়ে নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখে। তখন একরাম অনুসারী ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিপাত,নুমান ও বাপ্পী ছাত্রদের ওপর চালায়। হামলাকারীরা মো.মাইন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্ররা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসে। একপর্যায়ে তারা ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রী উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.একরাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ত্রাণ গুলো উদ্ধার করে। এরপর যাদের ত্রাণ তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের লোক দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী গুলো বিতরণ করে। স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সেখানে ১৪০-১৫০ প্যাকেট ত্রাণের প্যাকেট ছিল। স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সেখানে ১৪০-১৫০ প্যাকেট ত্রাণের প্যাকেট ছিল। সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সাথে ছবি গুলো পারিবারিক অনুষ্ঠানের।

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা হয়েছে। দলীয় বৈঠকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, ওই ত্রাণ বিতরণের সাথে কয়েকজন ছাত্রলীগের ছেলে জড়িত ছিল।  যারা ৫ আগস্টের আগের আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। আসলে ছোট বিষয়টিকে বড় করা হয়েছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রী গুলো উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়েেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *