অক্টোবর ৩০, ২০২৩ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
ইউরোপিয়ান ফুটবলের ঝাঁঝ তখনো বাংলাদেশের মানুষের মাঝে চেপে বসেনি। স্যাটেলাইট চ্যানেল তো দূরের স্বপ্ন, টেলিভিশনের দেখা পাওয়াটাই মুশকিল। সেই আকালের দিনেও একজন জাদুকরে মোহিত হয়েছিল বাংলাদেশ। সাদাকালো টিভির পর্দায় একজন ফুটবলার জয় করে নিয়েছিলেন কোটি মানুষের মন। তিনি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনাকে ৮৬ বিশ্বকাপটা যিনি একাই জিতিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯৬০ সালের এই দিনে (৩০ অক্টোবর) আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন আর্জেন্টাইন এই জাদুকর। সেদিন কে জানতো সদ্যভূমিষ্ট এই শিশুকে দেওয়া হয়েছে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাম পা!
সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। অনেকের কাছে তিনি আবার ফুটবল ঈশ্বর, সেরাদের সেরা। এমনকি তার নামে ধর্ম আছে। যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত ম্যারাডোনার নামে জপ করে। বল পায়ে দক্ষ নিয়ন্ত্রণ, ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষকদের বোকা বানিয়ে তিনি যেমন অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত জন্ম দিয়েছেন, তেমনি ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে হয়েছেন বিতর্কিত। হ্যান্ড অব গডের সেই বিতর্কিত গোল যে ম্যাচে ছিল, সেই ম্যাচেই ছিল তার গোল অব সেঞ্চুরি। বিতর্ক আর খ্যাতিতে ম্যারাডোনা এভাবেই মিশেছিলেন সারাজীবন।
মাত্র দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ষোল বছর বয়সে পা দেয়ার ঠিক দশদিন আগে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে তার, বর্তমানে হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে। তবে ক্যারিয়ারের সোনালী সময় পার করেছেন ইতালির নেপলস শহরে। সেখানকার ক্লাব নাপোলিকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য উচ্চতায়। যেখানে আজও ম্যারাডোনাকে স্মরণ করা হয় ঈশ্বরের সম্মান নিয়ে।