সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। সকালে ঈদের জামাত শেষে মহান আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় শুক্রবার ফজরের নামাজের পর পরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি শুরু হয়। মূলত, ঈদের দিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই পশু জবাই দেননি। তাই, দ্বিতীয় দিনে অনেকেই পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
ইসলামের বিধি মোতাবেক, ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দেওয়া যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই এলাকার অলিগলি, বাসার নিচের গ্যারেজে, প্রধান সড়কে পছন্দের গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।
গুলশানের বাসিন্দা মাসুম বলেন, ঈদের দিন ভোর থেকেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যেই নামাজ আদায় করেছি। ভেবেছি নামাজ শেষ হওয়ার পর বৃষ্টি থামবে। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় দুপুরে সিদ্ধান্ত নেই পশু জবাই দিব না। তাই আজ কোরবানি করছি।
পুরান ঢাকার টিপু সুলতান জানান, আমরা সবসময় ঈদের দ্বিতীয় দিনেই কোরবানি দিয়ে থাকি। তবে, আজ জুমার দিন হওয়ার ফজরের পরেই পশু জবাই দেওয়া হয়। সাড়ে ১২টায় আযান হয়ে যায়। তাই দ্রুত সবকিছু শেষ করে নামাজের প্রস্তুতি নেব।
শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা মেশকাত বলেন, ঈদের দিন কসাই পাওয়া যায় না। তাই, ঝামেলামুক্ত থাকতে দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানি দিচ্ছি।
বাংলামোটরের বাসিন্দা মিলন জানান, গত দুইদিন ধরেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিন বৃষ্টি হবে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল। তাই, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি করব।
এদিকে, কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।