ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ ১২:১৪ অপরাহ্ণ
রান্নায় তেল অপরিহার্য৷ তেলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে শারীরিক সুস্থতার ভালোমন্দও। আমাদের রান্নাঘরে সাধারণত সরিষার তেল আর সাদা তেল হিসেবে সানফ্লাওয়ার অয়েলই থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু তেল আছে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো বেছে নিতে পারেন।
অলিভ অয়েল সাধারণত ইউরোপীয় রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়। বেকিং, স্যতে করা, স্যালাড সজ্জা-সহ নানা কাজে দরকার হয় এই তেল। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই তেল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবেও কার্যকর। সমীক্ষায় প্রকাশ, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হেল্দি ফ্যাটের থেকেও উপকারী।
অলিভ অয়েলে উপস্থিত যৌগ ওবেসিটি এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
অ্যাভোকাডো অয়েলের নিজস্ব স্বাদ নেই বললেই চলে। অলিভ অয়েলের বিকল্প হতে পারে এই তেল। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এই তেল খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল সমস্যা কমিয়ে দেয়। ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর অনুপাত বৃদ্ধি করে৷
তিল তেল বা সিসেম অয়েল এখন রান্নায় ট্রেন্ডিং। তবে এই তেলে বাদামের গন্ধ পেতে পারেন। সমীক্ষায় প্রকাশ, এই তেল শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
চিনেবাদাম থেকে পাওয়া তেল বা পিনাট অয়েল স্বল্পদামী এবং পুষ্টিমূল্যে ভরা। সবজি গ্রিল বা বেক করার জন্য এই তেল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়।
তবে পিনাট অয়েল হাইড্রোজেনেটেড। অর্থাৎ এই তেলে হাইড্রোজেন যোগ করা হয় দীর্ঘ দিন তাজা রাখার জন্য। এর ফলে অস্বাস্থ্যকর ট্রান্স ফ্যাট বেড়ে যায় তেলে।
সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। বেকিং, সস তৈরি, স্ন্যাক্স ভাজা, স্যালাড ড্রেসিং-সহ নানা কাজে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের পলিআনস্যাচিওরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে সয়াবিন অয়েলও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
সূত্র: নিউজ ১৮