ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৯:২২ পূর্বাহ্ণ
বিশ্বকাপ জিতে ঘুচেছে তার আজন্ম হাহাকার। সোনার হাতে উঠেছে সোনার কাকন।
সব পাওয়ার তৃপ্তি নিয়ে এবার কী তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেবেন লিওনেল মেসি?
ফুটবলপ্রেমীদের মনে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নটার উত্তর ‘না’। বিশ্বকাপ অধ্যায়ের মধুর সমাপ্তি ঘটলেও আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসি ম্যাজিকের শেষ এখানেই নয়। স্বপ্নপূরণের মঞ্চে মেসি জানিয়ে দিলেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসাবে তিন তারকায় সমৃদ্ধ নীল-সাদা জার্সিতে আরও কিছুদিন খেলে যেতে চান তিনি।
রোববারের ফাইনাল দিয়ে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সি আর্জেন্টাইন জাদুকর। ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে এতদিনের অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর ভক্তদের কোনো বিষাদের খবর দেননি মেসি। জাতীয় দল থেকে এখনই অবসর নিচ্ছি না। গত বছর কোপা আমেরিকা আর এবার বিশ্বকাপ জিতলাম। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে আমার সব সময়ই ভালো লাগে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসাবে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে আরও কিছু ম্যাচ খেলতে চাই।
২০২৪ কোপা আমেরিকা পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। তবে সেটা হবে শুধুই উপভোগের ফুটবল। বর্ণিল ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা ঘুচে যাওয়ার পর ফুটবল-বিধাতার কাছে আর কিছুই চাওয়ার নেই মেসির, ‘বিশ্বকাপ জয় যে কারও শৈশবের স্বপ্ন। আমি ভাগ্যবান যে, ক্যারিয়ারের সবই অর্জন করতে পেরেছি। যেটা এতদিন ছিল না, সেটাও হয়ে গেল। এই ট্রফি জিতেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছিলাম। আমি আর কিছু চাইতে পারি না। স্রষ্টাকে ধন্যবাদ। তিনি আমাকে সবই দিয়েছেন।’ বিশ্বকাপ জেতার জন্য তিনি কতটা ব্যাকুল ছিলেন, সেটা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন মেসি, ‘কতবার এই স্বপ্ন আমি দেখেছি, কত আকুলতার সঙ্গেই না চেয়েছি। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। …আমরা আর্জেন্টাইনরা আরেকবার প্রমাণ করেছি, একসঙ্গে লড়াই করে যে কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারি। এই দলের মূল শক্তি একতা। প্রতিটি আর্জেন্টাইনের স্বপ্নপূরণে সবাই লড়াই করে গেছি। অবশেষে আমরা পেরেছি। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা।’
এদিকে এখনই অবসর না নেওয়ায় আগামী বিশ্বকাপেও মেসিকে দলে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘আগামী বিশ্বকাপেও মেসির জন্য জায়গা থাকবে। আমরা চাই সে খেলা চালিয়ে যাক। ১০ নম্বর জার্সি তার জন্য প্রস্তুত থাকবে। ক্যারিয়ার নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সে অর্জন করেছে। সতীর্থদের মধ্যে সে যা ছড়িয়ে দেয়, তা অবিশ্বাস্য। সাজঘরে এতটা প্রভাব বিস্তার করা কাউকে জীবনে দেখিনি আমি।’