মোঃ আব্দুল হান্নান(নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাহ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ঠাঁই মিলছে না স্বামীহারা খোরশেদা বেগম (৭৮) নামে এক বৃদ্ধ মায়ের। বড় সন্তান আর তার স্ত্রীর অত্যাচারে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। এ ঘটনায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (নাসিরনগর) আমলী আদালতে মামলাও করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, খোর্শেদার স্বামী মৃত্যুর য পর তিনি ৫ মেয়ে ও ২ ছেলে নিয়ে স্বামীর বসত ভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। সন্তানরা সবাই বিয়ে করে নিজেদের সংসার করছেন। খোরশেদার বয়স হওয়ায় তিনি চাইছিলেন তার জীবদ্দশায় স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি সব সন্তানদের মধ্যে শরিয়ত মেতাবেক ভাগবাটোয়ারা করে দিতে। কিন্তু বৃদ্ধার বড় ছেলে তাহের মিয়া তা না করে জোরে একাই সকল সম্পত্তি দখল করে রেখেছেন। খোরশেদা বেগমকেও মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী খোরশেদা বেগম বলেন, আমার সন্তানের অত্যাচারে আমি এখন বাড়ি ছাড়া। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ছোট ছেলের বউও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমি আদালতেন কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বামীর ভিটায় থাকতে চায় খোর্শেদা
মামলা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ছেলে তাহের মিয়া বলেন, শুনেছি আমার বিরুদ্ধে মা ও ছোট ভাইয়ের বউ মিলে আদালতে মামলা করেছে। তবে তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করেন তাহের মিয়া।
খোর্শেদার ছোট ছেলে ইসুফ বলেন, আমি ঢাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করি। আমার মা ও স্ত্রীকে বড় ভাই ও তার ছেলে বউ মিলে নিয়মিত নির্যাতন করে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রীও নারী নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন। ইউসুফ ওই ঘটনার ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে।
এ বিষয়ে তাহের মিয়ার গোষ্টির সর্দার ও প্রতিবেশী মোঃ ছোট্র মিয়ার সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সত্য বলে জানন ও তাহের মিয়ার আচার আচরণ ভাল নয় বলে দাবী করেন।তিনি বলেন আমরা ঘটনাটিকে সমাধানের চেষ্টা করেও তাহের মিয়ার জন্য সম্ভব হয়নি বলে জানান।
এ বিষয়ে পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলা হয়েছে, ঘটনাও সত্য।তবে আমার পক্ষে তাদের ঝামেলা শেষ করা সম্ভব নয়,কারন তার লোক ভাল না।