শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ

জাতীয় স্পেশাল স্লাইড

আগস্ট ১৩, ২০২৪ ৪:১৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে, মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।

এর আগে আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে একব্যক্তি আবেদনটি করেন।

এ মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই বিকালে মোহাম্মদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। সে সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মুদি দোকানদার আবু সায়েদ।

আবেদনকারী বলেন, শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের নির্দেশেই গুলি করেছে পুলিশ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর এ প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার আবেদন করা হলো।

মামলার বাদী আদাবর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শাতিল। তিনি সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার অভিযোগে বাদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *