হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ৭ অক্টোবরের পর থেকে নাটকীয়ভাবে তীব্র আকার ধারণ করে। দুই পক্ষকে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের কিনারে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয়। সম্প্রতি সংঘাতের তীব্রতা ও মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে দুই পক্ষ যেকোনো সময় সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়তে পারে।
আমরা যখন যুদ্ধের কিনারে পৌঁছে যাওয়ার কথা বলছি, তার মানে হচ্ছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতির কাছাকাছি একটা জায়গায় চলে এসেছে। সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে হিংসা-বৈরিতা যেভাবে বেড়েছে, সেটাকে সংঘাতের গতিমুখ বদলে দেওয়ার একটা সূচনাবিন্দু বলে মনে হতে পারে। তবে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে তারা এখনই যুদ্ধে জড়াতে চায় না। হিজবুল্লাহ তখনই লড়াইয়ে নামবে, যখন হামাস পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যাবে। যুদ্ধের জন্য এখনো উপযুক্ত সময় আসেনি। হিজবুল্লাহর জন্য রেডলাইন হলো গাজায় হামাসের পূর্ণ পতন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাচ্ছে, আপাতভাবে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল— দুই পক্ষের কারোরই বিপজ্জনক সীমারেখা অতিক্রমের অভিপ্রায় নেই। তবে তাদের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা এবং গাজা সংঘাতের কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দুই পক্ষের কোনো একটা পক্ষ বড় কোনো ভুল করে বসতে পারে। তাতে যেকোনো সময়ই সরাসরি যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তাবিষয়ক থিংক ট্যাংক ইসরায়েলি ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইএনএসএস) জানিয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ইসরায়েল। মূলত হিজবুল্লাহর বৈচিত্র্যপূর্ণ ও বিপুল অস্ত্রের মজুতের কারণেই ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি এই থিংক ট্যাংকটি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সঙ্গে চলমান সংঘাত যদি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয় তাহলে এর ফলাফল কী হতে পারে সে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছে। বিশেষ করে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ক্রমাগত হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের হুমকি দেওয়ার কারণে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আইএনএসএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৮ অক্টোবরের পর থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ৫ হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র-রকেটসহ বিভিন্ন ধরনের হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলা, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল উল্লেখযোগ্য। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসব হামলার অধিকাংশই প্রায় নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ ইসরায়েলির প্রাণহানিও হয়েছে।
ইসরায়েলি থিংক ট্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর থেকেই ইসরায়েলের প্রধান হুমকি হয়ে উঠেছে হিজবুল্লাহ। সেই যুদ্ধের পর থেকেই নিজেদের অস্ত্রাগার বাড়িয়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেয় গোষ্ঠীটি। প্রতিবেদন অনুসারে, হিজবুল্লাহর কাছে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য মারণাস্ত্র আছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ইসরায়েল। এমনটাই জানিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবিষয়ক থিংক ট্যাংক ইসরায়েলি ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইএনএসএস)। মূলত হিজবুল্লাহর বৈচিত্র্যপূর্ণ ও বিপুল অস্ত্রের মজুতের কারণেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে ইসরায়েল।
লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি এই থিংক ট্যাংকটি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সঙ্গে চলমান সংঘাত যদি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয় তাহলে এর ফলাফল কী হতে পারে সে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছে। বিশেষ করে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ক্রমাগত হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের হুমকি দেওয়ার কারণে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আইএনএসএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৮ অক্টোবরের পর থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ৫ হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র-রকেটসহ বিভিন্ন ধরনের হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলা, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল উল্লেখযোগ্য। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসব হামলার অধিকাংশই প্রায় নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ ইসরায়েলির প্রাণহানিও হয়েছে।
ইসরায়েলি থিংক ট্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর থেকেই ইসরায়েলের প্রধান হুমকি হয়ে উঠেছে হিজবুল্লাহ। সেই যুদ্ধের পর থেকেই নিজেদের অস্ত্রাগার বাড়িয়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেয় গোষ্ঠীটি। প্রতিবেদন অনুসারে, হিজবুল্লাহর কাছে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য মারণাস্ত্র আছে।
এসব মারণাস্ত্রের মধ্যে মাঝারি পাল্লার নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রার বিভিন্ন গাইডেডে ক্ষেপণাস্ত্র, বিভিন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র এবং হাজারো মনুষ্যবিহীন আকাশযান তথা ড্রোন ও অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল আছে।