হামাস তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিলে আগামীকালই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব—মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের করা এই মন্তব্যের সমালোচনা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলেছে, এই মন্তব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনার অগ্রগতি পিছিয়ে দিয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে হাসাম এসব কথা বলেছে। খবর এএফপির।
এতে বলেছে, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই অবস্থানের নিন্দা জানাই। আমরা তার এই মন্তব্যকে যুদ্ধবিরতির সাম্প্রতিক কয়েক ধাপের আলোচনার অগ্রগতির জন্য একটি ধাক্কা বলে মনে করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কালই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে এ লক্ষ্যে তিনি শর্তের বোঝা চাপিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ওপরই। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে এক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি যেমনটা বলেছি, এটি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে। তারা যদি এটা (যুদ্ধবিরতি) বাস্তবায়ন করতে চায়, তারা এটা (জিম্মিদের মুক্তি দিয়ে) আগামীকালই শেষ করতে পারে। এমনটা করলে আগামীকালই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে যেতে পারে।’
এর আগে বাইডেন নিশ্চিত করেছেন, তার দেশ রাফাহ অভিযানের জন্য ইসরাইলকে কোনো অস্ত্র দেবে না।
মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময় চুক্তির ব্যাপারে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান আলোচনা দক্ষিণ গাজার রাফাহে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অভিযানের মধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
হামাস বলছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাফাহে হামলা চালিয়ে আলোচনার অগ্রগতিকে উল্টিয়ে দিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। হামাসের অভিযোগ, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই যুদ্ধবিরতি আলোচনার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছেন। নেতানিয়াহু গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহে হামলা চালানোর বিষয়টি আড়াল করতে আলোচনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।
এদিকে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি পাঁচজন মার্কিন নাগরিকের পরিবার গত শুক্রবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ও মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয়কারী ব্রেট ম্যাকগার্কের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরিবারগুলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় আবারও স্থবিরতায় তারা হতাশ। বিশেষ করে, জিম্মিদের নিয়ে প্রকাশ করা হামাসের সাম্প্রতিক ভিডিওগুলোতে জিম্মিদের চলনশক্তিহীন, পাতলা, ফ্যাকাশে ও হতাশাগ্রস্ত দেখা যাওয়ার পর এই হতাশা আরও বেড়ে গেছে।