১৫ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

১৫ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

জাতীয় স্লাইড

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ ৮:২৬ অপরাহ্ণ

শওকত আলী হাজারী।।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় ১৫দিনব্যাপী চলা জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০ এর আনুষ্ঠানিক সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার, রাত ৮.৩০ মিনিটে। ৩১ জানুয়ারি দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে উদ্বোধন করা হয় জাতীয় পিঠা উৎসবের। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এ আয়োজনে ব্যাপক দর্শক উপস্থিতি ও পিঠাপ্রেমীদের অনুরোধে পিঠা উৎসব ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আরো ৪ দিন বর্ধিত করা হয়।

সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব খলিল আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী আমানুল হক ও বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা রিতা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

এবারের পিঠা মেলায় অংশগ্রহণকারী পিঠাশিল্পীদের মূল্যায়ন করতে প্রতিদিনই স্টল পর্যবেক্ষন এবং পিঠার স্বাদ বিচার করছেন বিচারক কমিটি। পিঠার গুণমান, আদি ধরণ এবং স্বাদ বিবেচনায় ১৮০ জন পিঠাশিল্পীর মধ্যে কয়েকধাপে ১ম,২য়,৩য় হিসেবে ঢাকা জেলাসহ ১২ জনকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন ১৬ জন পিঠাশিল্পী। প্রত্যেক অংশগ্রহণ কারী পিঠাশিল্পীই সনদপত্র পেয়েছেন।

ঢাকা জেলায় প্রথম হলেন নবাবগঞ্জের শফিকুল ইসলাম খন্দকার, ২য় কেরানীগঞ্জের এলিজা বেগম এবং ৩য় দোহার তাহমিনা আফরোজ।

এবারের উৎসবে অবাণিজ্যিক মুল পিঠাশিল্পীদের তুলে আনতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে ,বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। পুরো একাডেমি প্রাঙ্গণে বসে ৫০ টি স্টল । এর মধ্যে বিনামূল্যে ৩০ টি স্টল দেয়া হয় ১৮০ জন পিঠা শিল্পীকে। যাদের বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩/৪ দিন মেয়াদ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। মুলত পিঠাশিল্পীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এই সুযোগ দেয়া হয়। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত এসব পিঠা শিল্পীদের বিনামূল্যে স্টলে পিঠা তৈরী ও বিক্রির সুযোগ দেয়া হয়। যারা বাণিজ্যিক নন, কেবল পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে পিঠা তৈরী করেন, তাদের মাধ্যমে আদি ও ঐতিহ্য পরম্পরার পিঠার ভিন্নতা তুলে ধরতেই প্রথম বারের মতো এই আয়োজনের ক্ষেত্র তৈরী করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় জাতীয় পিঠা উৎসব। দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে উদ্বোধনের মাধ্যমে চলমান এ মেলায় ব্যাপক সাড়া পড়ে রাজধানী এবং জেলাগুলোতে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা এবং জেলা উপজেলা থেকে আগত পিঠা শিল্পীরাও এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিদিন বাহারি স্বাদের পিঠা আর লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুগ্ধ হয় আগত পিঠাপ্রেমী ও দর্শনার্থীরা। একদিকে জাতীয় চিত্রশালার সামনে নাগরদোলায় শিশুদের বিনোদনের উপকরণ অন্যদিকে বড়দের জন্য লোকসাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সবমিলিয়ে যেন গ্রামীণ মেলা বসে এখানে। হাজারো ব্যস্ততার ভিড়ে কর্মজীবী নগরবাসী পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করেন পিঠা উৎসব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *