মনিরুজ্জামান মনি : সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দরে দ্রুততম সময়ে পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ চালু ও সকল পণ্য আমদানির অনুমতি প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।সোমবার (০৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় ভোমরা স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ভোমরা সি,এন্ড,এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কাস্টমস্ হাউজ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন সভাপতিত্ব করেন। ভোমরা সি,এন্ড,এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনসহ ৪টি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব এ এস এম মাকছুদ খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশিদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সি,এন্ড,এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান, শ্রমিক নেতা জাকির হোসেন, আমদানি কারক এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, হাদিউজ্জামান বাদশা, আব্দুস সাত্তার জুয়েল, আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ভোমরা সি,এন্ড,এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি.এম আমির হামজা, সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, অর্থ সম্পাদক মো. আবু মুছা, কার্য নির্বাহী সদস্য মো. শাহানুর ইসলাম (শাহিন), ভোমরা স্থল বন্দর এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. ওহিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা জুয়েল প্রমুখ।
মানববন্ধনে ভোমরাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ভোমরাস্থল বন্দর দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হওয়ার পরেও কিছু কুচক্রী মহলের কারণে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ বন্দর দিয়ে সকল পণ্য আমদানি করার পরিবেশ থাকলেও কাস্টমস্ হাউজ না হলে সেটি হচ্ছে না। নামমাত্র কয়েকটি পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি হয়। বন্দরের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা না থাকায় ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। কাস্টমস্ হাউজ চালু হলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বাড়বে। কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।
এছাড়া মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। পার্শ্ববর্তী বেনাপোল বন্দরে সব ধরনের পণ্য আমদানি রপ্তানির অনুমোদন থাকলেও ভোমরা বন্দরে সেটি নাই। এজন্য ভোমরা বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এতে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ না পেয়ে অসহায়ত্বের সাথে দিন কাটাচ্ছে। বক্তারা বন্দরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার ব্যবস্থাকরণ, পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ চালু এবং অফিসার নিয়োগ দিয়ে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম বেগবান করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।