সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে মন্ত্রিসভার নির্দেশ

সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে মন্ত্রিসভার নির্দেশ

জাতীয় স্লাইড

ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ

দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তায় আরো জোর দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী সাবমেরিন ক্যাবলের জন্য যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, সেটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আর যেসব স্থানে গ্যাস ও তেল পাইপলাইনে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যেন পরিবহন খরচ না লাগে। তাড়াতাড়ি গ্যাস ও তেল সরবরাহ করা যায়।

এখন সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন জোরদার করতে বলা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত দু’তিন বছর ধরেই এই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এখন বিষয়টির ওপর আরো জোর দেওয়া এবং আধুনিক উপকরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনোভাবেই যেন ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো বিষয় হ্যাক না করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ধীরে ধীরে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যাওয়া হচ্ছে। এগুলোতে যেন ভালো রকমের নিরাপত্তা থাকে।

বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন), আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি জাতীয় সংসদে পাস হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়েও অর্থ বিভাগের সম্মতি লাগবে। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি আইন পাস করা হয়। কিন্তু তাতে একটি বিষয় অস্পষ্ট ছিল। সেটি হলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়ের কর্তৃপক্ষ ছিল অর্থ বিভাগ। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা লেজিসলেটিভ সংস্থা, যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না। এজন্য অর্থ বিভাগ থেকে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা লেজিসলেটিভ সংস্থার আর্থিক বিষয়েও অর্থ বিভাগের একটি কর্তৃত্ব থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নিজের মতো করে বেতন ভাতা ঠিক করে নিলে তা হবে না। অর্থাৎ যেকোনো অর্থনৈতিক বিষয়ে অর্থ বিভাগের ছাড় নিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এর মধ্যে পড়বে। এগুলো আগেও ছিল। কিন্তু এই আইন হওয়ার পর বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। এছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবসহ আরো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগামী ১৫ ডিসেম্বর সরকারি চাকরি থেকে অবসর উত্তর ছুটিতে যাবেন। আজ ছিল তার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেষ অংশগ্রহণ। এরই মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *