শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে এক উইকেটে হারল পাকিস্তান

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে এক উইকেটে হারল পাকিস্তান

খেলা

অক্টোবর ২৮, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাঁচা মরার ম্যাচে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। হাইভোল্টেজ ম্যাচে লড়াইটা হয়েছে বাঘে-সিংহের মতো। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে প্রোটিয়ারা। এই হারে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে মেন ইন গ্রিনরা।

চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২৭০ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ১ হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। হাতে ছিল আরো ১৬ বল। এই জয়ে ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে প্রোটিয়ারা। সমান ম্যাচে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রান তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন কুইন্টন ডি কক। তবে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন এ ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হন তিনি। এর আগে মাত্র ১৪ বলে খেলেন ২৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।

ডি ককের বিদায়ের পর দলকে ভালোভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন রাসি ফন ডার ডুসেন ও টেম্বা বাভুমা। দশম ওভারে এসে আউট হন বাভুমা। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ২৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতেও ভালোভাবে এগোতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেখানে বাধা দেন উসামা মির।

উসামার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ২১ রান করা ডুসেন। একটু পরই ১২ রানে আউট হন হেনরিখ ক্লাসেন। চার উইকেট হারালেও রান রেট ঠিক রেখে এগোচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে বড় ভূমিকা ছিল এইডেন মার্করামের। ৫০ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি।

অন্যপ্রান্তে ডেভিড মিলারও ভালোভাবে এগোচ্ছিলেন। তবে ২৯ রানে আউট হন তিনি। মার্কো জানসেন ২০ রানে ফিরলে চাপ বাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। একপ্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকা মার্করাম অবশ্য শক্ত হাতে দলকে জয়ের পথে নিচ্ছিলেন। একইসঙ্গে ছিলেন সেঞ্চুরির পথে।

তবে উসামা মিরের আঘাতে হার মানেন মার্করাম। ব্যক্তিগত ৯১ রানে যখন মার্করাম আউট হন, জয় থেকে তখনও ২১ রান দূরে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান যোগ করার আগেই শাহিনের বলে কোয়েৎজে ফিরলে ম্যাচের উত্তেজনা আরো বাড়ে। হারিস রউফের বলে নবম উইকেট হিসেবে ফেরেন লুঙ্গি এনগিডি।

শেষ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১১ রান। কেশভ মহারাজ ও লুঙ্গি তাবরাইজ শামসি ধৈর্য ধরে খেলে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি তিনটি এবং হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও উসামা মির দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে শুক্রবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার। আবদুল্লাহ শফিক ৯ ও ইমাম উল হক ১২ রানেই আউট হন। চারে নেমে ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ব্যর্থ ইফতিখার আহমেদ ফেরেন ২১ রানে। সতীর্থরা আসা যাওয়ার মাঝে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়তে থাকেন বাবর আজম। ধৈর্যশীল ইনিংসে অর্ধশতকের দেখা পান তিনি। লুঙ্গি এনগিদির বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৬৪ বলে মাইলফলকে পৌঁছান পাক অধিনায়ক।

তবে ফিফটির পর ইনিংস আর এগিয়ে নিতে পারেননি বাবর। তাবরাইজ শামসির বলে ঠিক ৫০ রানেই আউট হন তিনি। অধিনায়কের বিদায়ে বড় বিপদে পড়ে মেন ইন গ্রিন। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন শাদাব খান ও সৌদ শাকিল। দুজনের ৮৪ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে পাকরা।

শাদাব ও সৌদের পাল্টা আক্রমণে একসময় ভালো সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনই আউট হন। শাদাব ৪৩ ও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন সৌদ। প্রোটিয়াদের হয়ে তাবরাইজ শামসি চারটি, মার্কো জানসেন তিনটি উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *