রাজস্থানকে বিদায় করে ফাইনালে হায়দরাবাদ

রাজস্থানকে বিদায় করে ফাইনালে হায়দরাবাদ

খেলা

মে ২৫, ২০২৪ ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০০৮ সালের প্রথম আসরে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজস্থান রয়েলস।

এরপর দীর্ঘ ১৩ বছর পর গত আসরে ফাইনালে উঠে রাজস্থান। তবে ফাইনালে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাটের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে সাঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান রয়েলস।

এবারও রাজস্থান রয়েলসের নেতৃত্ব দেন সাঞ্জু স্যামসন। তার নেতৃত্বে সেমিফাইনালে উঠে রাজস্থান। আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার তথা দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিল রাজস্থান।

এদিন চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

দলের হয়ে ৩৪ বলে চারটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন হেনরি ক্লেসেন। এছাড়া ১৫ বলে ৫টি চার আর ২টি ছক্কায় ৩৭ রান করেছেন রাহুল ত্রিপাঠি। ২৮ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩৪ রান করেন ওপেনার ট্রাভিস হেড।

১২০ বলে ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে ৬৫ রান করে জয়ের পথেই ছিল রাজস্থান রয়েলস। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় রাজস্থান।

১৪ ওভারের খেলা শেষে রাজস্থানের সংগ্রহ ছিল ৯৩ রান। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভার তথা ৩৬ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৮৩ রান। প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় লেজের ব্যাটসম্যানরা শেষ ৩৬ বলে ৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করতে সক্ষম হয় রাজস্থান।

রাজস্থানকে ৩৬ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতে মোস্তাফিজদের হায়দরাবাদ। এরপর ২০১৮ সালে ফাইনালে উঠেও চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে হেরে যায় তারা।

আগামী রোববার চেন্নাইয়ে আইপিএলের ১৭তম অসারের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেদিন আইপিএলের দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে খেলবে হায়দরাবাদ।

আর কলকাতা নাইট রাইডার্সের লক্ষ্য তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে আইপিএল শিরোপা জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবার কেকেআরের মেন্টরের ভূমিকা পালন করছেন গৌতম গম্ভীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *