যেভাবে লেনদেন করবেন ‘টাকা পে’ কার্ডে

যেভাবে লেনদেন করবেন ‘টাকা পে’ কার্ডে

অর্থনীতি

নভেম্বর ৪, ২০২৩ ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

দেশীয় মুদ্রার ডেবিট কার্ড ‘টাকা পে’ এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ কার্ড উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘টাকা পে’ কার্ড হুবহু ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মতো। ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে যেসব সেবা মেলে একই সেবা ‘টাকা পে’ কার্ডও দেবে। প্রাথমিকভাবে এটি শুধু দেশের মধ্যেই ব্যবহার করা যাবে।

ক্রমান্বয়ে এর মাধ্যমে টাকা-রুপি কার্ডও চালু করা হবে। তখন টাকা-রুপির মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতে লেনদেন করা যাবে। অধিকাংশ দেশে এমন নিজস্ব কার্ড আছে। কয়েকটি দেশের মধ্যে যেমন-ভারতের কার্ড ‘রুপে’, পাকিস্তানের ‘পাক পে’, শ্রীলংকার ‘লংকা পে’ ও সৌদি আরবে আছে ‘মাদা’।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশে প্রথমে ৮টি ব্যাংক পাইলটভিত্তিতে এ কার্ড ইস্যু করবে। ৮ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। তবে উদ্বোধনী দিনে শুধু সোনালী, ব্র্যাক ও সিটি ব্যাংক এ কার্ড ইস্যু করেছে। পরবর্তীতে অন্যান্য ব্যাংকও ইস্যু করতে পারবে।

এর আগে, ১৮ জুন নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যান। এ জন্য বাংলাদেশিরা ডলার কিনে ভারতে গিয়ে রুপিতে রূপান্তর করেন। তারা প্রায়ই বিনিময় হারজনিত লোকসানে পড়েন। এ থেকে উত্তরণে ‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কার্ডের মাধ্যমে টাকা বা রুপি তুলতে পারবে সবাই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে ডেবিট কার্ডের লেনদেনে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম (আইপিএস) থেকে দেশের ব্যাংকগুলো সেবা নিয়ে থাকে। এসব সেবা সরবরাহ করে, ভিসা, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স, জেসিবি, ডিসকভার, ইউনিয়ন পে। এতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ফি দিতে হয় ব্যাংকগুলোকে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমানো ও বৈদেশিক মুদ্রার হ্রাস কমাতে ‘ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড’ চালু করার উদ্যোগ।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, উদ্বোধনের পর পরই এ কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়েছে দেশের মধ্যে। নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি পুরনো ব্যাংক অ্যাকউন্টেও এ কার্ডের মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন গ্রাহক। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টের বিপরীতে আগের নেয়া ডেবিট কার্ডটি স্থগিত করে ‘টাকা পে’ কার্ডের সেবা নিতে পারবে তারা।

গভর্নর জানিয়েছিলেন, গ্রাহকের এ কার্ড থাকলে বাংলাদেশে এটিকে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। কেনাকাটা করতে পারবেন। ভারতে গেলে এ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *