যুক্তরাজ্য ও ইরানে নতুন নেতৃত্ব, সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবছেন এরদোগান

যুক্তরাজ্য ও ইরানে নতুন নেতৃত্ব, সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবছেন এরদোগান

আন্তর্জাতিক

জুলাই ৮, ২০২৪ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইরান। দেশ দুটি নতুন সরকারপ্রধান পেলেও পুরোনো সম্পর্কে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

রোববার জার্মানি থেকে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের একথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

এ সময় তিনি ইসরাইলি কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করেন এবং প্রতিবেশী সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও কথা বলেন।

প্রতিবেশী সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে এরদোগান আসাদের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলানোর ইঙ্গিত দেন। তিনি সিরিয়ার সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক সংশোধনের ইচ্ছার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘বাশার আল-আসাদ যে মুহূর্তে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবেন, আমরা সেই পদক্ষেপের প্রতিদান দেব।’

তুর্কি নেতা এ সময় আরও বলেন, ‘আমরা আসাদকে আমন্ত্রণ জানাব। আমরা তুর্কি-সিরিয়া সম্পর্ককে অতীতের মতোই (বন্ধুত্বপূর্ণ) ফিরিয়ে আনতে চাই।’

আরেক প্রতিবেশী ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এরদোগান দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ইরান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ, যার সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি আশা করি আগামী দিনগুলোতে তুর্কি-ইরান সম্পর্ক ইতিবাচকভাবেই বিকশিত হবে।’

এরদোগান এ সময় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথাও তুলে ধরেন। এই সম্পর্ককে তিনি আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেন। তুর্কি নেতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা আমাদের অন্যতম মিত্র যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সামনের দিনগুলোতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্পর্ক বৃদ্ধি অব্যাহত রাখব।’

পাশাপাশি ফের ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে গাজায় ‘অমানবিক’ হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এরদোগান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলের এই গণহত্যা এবং অমানবিক হামলা একেবারেই বন্ধ করা উচিত।’

এরদোগান এ সময় দাবি করে বলেন, ‘আজ পর্যন্ত ইসরাইলই ক্রমাগত আক্রমণ এবং গণহত্যার ওপর জোর দিয়ে এসেছে। ইসরাইলই মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনকে পদদলিত করে চলেছে।’

তুর্কি নেতা এ সময় ইসরাইলের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘তারা (ইসরাইলি নেতারা) লেবাননকে নিজেদের করায়ত্বে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। তবে ইসরাইলকে অবশ্যই এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়ানোর আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে।’

তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *