মোখার ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি

মোখার ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি

দেশজুড়ে স্লাইড

মে ১৩, ২০২৩ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যাতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে সে লক্ষ্যে সরকারিভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার প্রশাসন বৃহস্পতিবার থেকেই জনগণকে সতর্ক করছে। এছাড়া নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি স্থানীয় স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জনগণকে সেখানে নিয়ে আসা এবং তাদের খাবার-পানীয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রস্তুত আছে মেডিকেল টিম। বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক তৈরি আছেন। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এসব কাজ তদারকি করছে। ২১টি টিম ১৭ মে পর্যন্ত দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মন্ত্রণালয়ে অবস্থান করে এই কাজ চালিয়ে যাবে। এর অংশ হিসাবে শুক্রবারও খোলা ছিল মন্ত্রণালয়।

উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় যথারীতি সেনাবাহিনী, নৌ, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও মাঠে আছে। এছাড়া পানিসম্পদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে। বিশেষ করে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাকা ধানসহ অন্যান্য ফসল কাটা ও তুলে আনার ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে বরাবরের মতোই উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেড়িবাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

ঝড়ের সঙ্গে আসা উঁচু ঢেউ বেড়িবাঁধ টপকে বা ভেঙে জনপদে ঢুকে যেতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। তেমনটি হলে লবণাক্ততা স্থায়ীভাবে আবাদি জমির ক্ষতি করতে পারে। যদিও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই সরকারি তরফে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার বিকালে কথা হয় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রধান উপসচিব আবু সাঈদ মো. কামালের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের মূল গতিপথের মধ্যে আছে সেন্টমার্টিন। এটি মূলত কক্সবাজারের বেশি ক্ষতি করতে পারে। শুক্রবারই সেখানে অবস্থানরত পর্যটক ও বাসিন্দাদের মধ্যে আগ্রহীদের মূল ভূখণ্ডে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা শুরু হয়েছে।

আর যারা থেকে যাবেন তারা হোটেল-মোটেলে আশ্রয় নেবেন। পাকা ভবনের সব হোটেল-মোটেল আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হবে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপর সমুদ্রসৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়ও নেওয়া হয়েছে একই ব্যবস্থা।

এছাড়া দুর্গত নাগরিকদের খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার জন্য দুই ধরনের প্রস্তুতি আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে-মাঠপর্যায়ে ত্রাণ গুদামের রিজার্ভ। আরেকটি হচ্ছে-দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর ঘোষিত বিশেষ বরাদ্দ। সবমিলে দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করতে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। মোখা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। এটি আগামীকাল কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের নিচু এলাকায় আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছি। প্রতিবারের মতো ইনশাআল্লাহ এবারও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পারব। সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড প্রস্তুত আছে। তিনি আরও জানান, মোখায় বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বিষয়টি রোহিঙ্গা শরণার্থীবিষয়ক কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় গ্রহণকারীদের খাওয়ার জন্য ১৪ টন ড্রাইকেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

যুগান্তরের উপকূলীয় জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো অফিসগুলো জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে মাঠ প্রশাসন মোখার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক কাজ করে যাচ্ছে।

কক্সবাজার : পর্যটন দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারযোগে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন। এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুত রাখা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

এদিকে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৬টি মেডিকেল, ৬টি রেসপন্স টিম, ৬৬টি সিপিপি ইউনিট, ১৫২০ জন ভলান্টিয়ার প্রস্তুত ও স্থানীয় মুদি দোকানদারদের শুকনো খাবার মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

চট্টগ্রাম : ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের পরপরই নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করে বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ওপর নির্ভর করে বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করে থাকে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। নগরী ও উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র ও রেসকিউ টিম। এখনো পর্যন্ত জেটিতে অবস্থানরত জাহাজে পণ্য লোডিং-আনলোডিং হচ্ছে। বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিও (সরবরাহ) স্বাভাবিক আছে। বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় আকারের জাহাজগুলো থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাস চলছে। তবে লাইটার জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ১ হাজার ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৫ লাখ এক হাজার ১১০ জন মানুষের। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরীতে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।

চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের রেসকিউ বোট ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে চসিক। নগরীর দামপাড়ায় কন্ট্রোল রুমের ০২৩-৩৩৩-৬৩০-৭৩৯ নম্বরে নগরবাসী ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাবেন।

বরিশাল : জমিতে থাকা বাকি ধান কেটে দ্রুত ঘরে তোলার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। অবশ্য ইতোমধ্যে বিভাগের ৬ জেলায় প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।

ভোলা : জেলায় বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও অতিজোয়ার ঠেকাতে নির্মিত ৩৩৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে মেঘনা নদীর পাড়ে সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছে ১২০ কিলোমিটার মাটির বাঁধ। এই অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

মোংলা (বাগেরহাট) : আতঙ্ক বাড়ছে সুন্দরবন উপকূলসহ মোংলার জনপদে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। মোংলা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে কোস্টগার্ড। লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়ার পাশাপাশি কোস্টগার্ড স্টেশনে আশ্রয় প্রদান করা হচ্ছে। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনও।

চরফ্যাশন (ভোলা) : পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় লক্ষাধিক মানুষ ও গবাদিপশুর নিরাপদ অবস্থান নিয়ে আতঙ্কে সময় কাটছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন ঢালচরের মানুষ। এছাড়া বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মুজিবনগর, চরপাতিলা, চরকুকরি-মুকরি ও চরনিজামের মানুষও আতঙ্কে। উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুতি সভা করেছে। শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাইক্লোন শেল্টার খোলা হয়েছে।

আমতলী (বরগুনা) : উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীর লক্ষাধিক মানুষের জন্য ১৭৪টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩,৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমতলী ও তালতলীকে ৪নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তালতলী (বরগুনা) : উপকূলীয় অঞ্চল নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছেন।

নাজিরপুর (পিরোজপুর) : নাজিরপুরে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ২৫ হাজার লোকের থাকার জন্য ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

টেকেরহাট (মাদারীপুর) : আধা-পাকা ধান কাটছেন মাদারীপুরের কৃষকরা। জেলা কৃষি অফিস, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দিয়েছেন।

দুমকি (পটুয়াখালী) : শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলাবাসীকে সতর্কী করাসহ বেশ কিছু আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।

রাজবাড়ী : দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীর জেলেরা আশ্রয় নিয়েছেন দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে। পদ্মার পানি একটু বাড়লেও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) : ইন্দুরকানী উপজেলার ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। এ এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের দাবি-তারা ত্রাণ চান না, টেকসই বেড়িবাঁধ চান।

দোহার : রাজধানীর পার্শ্ববর্তী দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কে ও শঙ্কায় সময় পার করছেন। পদ্মায় মাছ ধরার নৌকাসহ বিভিন্ন নৌযান শুক্রবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এছাড়া মেডিকেল টিম, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এছাড়া রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় ২১৭ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসন নদীর তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের সতর্ক করেছে। মোখায় অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, জেলায় ১৮৫ সাইক্লোন শেল্টার খোলা হয়েছে।

কাজ করবে ৬৪ মেডিকেল টিম। রাঙামাটিতেও প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে। নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, জেলায় ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খুলনা জেলা কারাগারেও মোখা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

খুলনার দাকোপ প্রতিনিধি জানান, মোখায় অরক্ষিত উপকূলের বেড়িবাঁধ। আতঙ্কে লাখো মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *