মা হওয়ার পর যে স্টাইল অনুসরণ করে রোগা হন কারিনা

মা হওয়ার পর যে স্টাইল অনুসরণ করে রোগা হন কারিনা

বিনোদন

জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ ৩:২৫ অপরাহ্ণ

কারিনা কাপুরের ফিটনেস বলিপাড়ার অন্যতম চর্চার বিষয়। মা হওয়ার পর জীবনের পাশাপাশি শারীরিক গঠনেও পরিবর্তন আসে। ছিপছিপে তন্বী মেয়েটিও মা হয়ে যাওয়ার পরে গোলগাল হয়ে যায়। কারিনা কাপুরও ব্যতিক্রম নন। তৈমুর এবং জেহ হওয়ার পরে ওজন বেড়ে গিয়েছিল নায়িকার। মোটা হয়ে গিয়েছিলেন বেবো।

সেই সময় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মা হওয়ার জন্য এটুকু বদল মেনে নেওয়াই যায়। তবে সন্তানের যত্ন নিতে মায়ের ফিট থাকা প্রয়োজন। সন্তানকে খাওয়ানো থেকে ঘুম পাড়ানো পর্যন্ত অধিকাংশ দায়িত্ব নিতে হয় মায়েদেরকেই। কারিনা নিজেও তাই তড়িঘড়ি ওজন কমিয়েছিলেন।

মা হওয়ার পর রোগা হওয়া যে খুব সহজ ছিল, তা কিন্তু নয়। প্রচুর পরিশ্রম করে আর ঘাম ঝরিয়ে তবেই কমেছিল ওজন। বলিপাড়ার তারকা ফিটনেস প্রশিক্ষক আনুষ্কা পারওয়ানি। আনুষ্কা শর্মা থেকে আলিয়া ভাট- মুম্বাইয়ের বহু নায়িকাই তার কাছে শরীরচর্চার পাঠ নেন। কারিনাও ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসাবে বেছে নিয়েছেন আনুষ্কাকে। সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়া তিনি।

মাঝেমাঝেই নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় নায়িকাদের শরীরচর্চার ভিডিও ভাগ করে নেন। সম্প্রতি কারিনার একটি ভিডিও তিনি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছিলেন। ছুটির দিনেও শরীরচর্চা করছিলেন কারিনা। আনুষ্কা জানিয়েছেন, কারিনা এ সব ব্যাপারে খুবই সতর্ক। শরীরচর্চার সঙ্গে কোনো আপস করেন না তিনি। কাজের চাপ থাক কিংবা না থাক, শরীরচর্চা করতে ভোলেন না।

সারা দিনে যতই কাজ থাকুক, নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে ভোলেন না কারিনা। শুটিংয়ের চাপ, দুই ছেলের দায়িত্ব হোক কিংবা স্বামী সাইফ আলি খানের হাত ধরে লম্বা ছুটিতে বিদেশে পাড়ি দেওয়া, কারিনার শরীরচর্চার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি কিছুই। কারিনার যোগ প্রশিক্ষকও অভিনেত্রীর শরীরচর্চার প্রতি উৎসাহের কথা মাঝেমাঝেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলে থাকেন।

তবে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে কারিনা ভরসা রাখেন বালাসনে। এই আসনটি করতে প্রথমে হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা বাকান। শরীরটা এমনভাবে বাকান, যাতে বুক গিয়ে উরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে। আর হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখে। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি নেই। োরিনা জানিয়েছেন, জেহ হওয়ার পর এই আসনটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *