ভোটার খরার মধ্যেও বেড়েছে ভোটের হার

ভোটার খরার মধ্যেও বেড়েছে ভোটের হার

জাতীয় স্লাইড

মে ২৩, ২০২৪ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

দ্বিতীয় ধাপের ১৫৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সমন্বিত ফলাফলে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ৭৪.৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায়। অন্তত ৭টি উপজেলায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। যদিও ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তখন তিনি ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে মন্তব্য করেন।

বুধবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়ার হার বেশি। প্রথম ধাপে ৩৬.১০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ভোটপড়ার এই হার নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিস্ময়ের তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ভোট হয় ১৫৩টির। বাকি তিনজন চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় সেখানে ওই পদে ভোট হয়নি। তবে ভ্ইাস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে। যে ১৫৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে তার সমন্বিত ফলাফল বুধবার প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে দেখা যায়, এসব উপজেলায় তিন কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন।

জাতীয় সংসদের পর উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এসব দল নির্বাচন বর্জন করায় ভোটার উপস্থিতির কম হওয়ার অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।

ওই ফলাফলে আরও দেখা যায়, এ ধাপেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) চেয়ে কাগজের ব্যালটে ভোট পড়ার হার বেশি। ১২৯টি উপজেলায় কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়। ওইসব উপজেলায় ভোট পড়ার হার ৩৮.৪৭ শতাংশ। অপরদিকে যে ২৩টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়েছে সেখানে ভোটের হার ৩২.১৭ শতাংশ। এই হিসাবে ইভিএমের চেয়ে কাগজের ব্যালটের ভোট পড়ার হার ৬.৩ শতাংশ বেশি।

উপজেলাভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক উপজেলার সঙ্গে আরেক উপজেলার ভোটের বড় ব্যবধান। এ ধাপে পাঁচটি উপজেলায় ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। ২০-৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে ২০টি উপজেলায়। অপরদিকে ৭টি উপজেলায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। একই নির্বাচনে ভোটপড়ার হারের এত বড় ব্যবধান ভোটের হারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলায় প্রার্থী সংখ্যা বেশি এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় সেখানে ভোট পড়ার হার সাধারণত বেশি হয়।

যে পাঁচ উপজেলায় ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে সেগুলো হলো-রাজশাহীর বাগমারা (১৭.৯৮ শতাংশ), পাবনার চাটমোহর (১৮.০১), যশোরের শার্শা (১৮.৬৩), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ (১৮.৪২) ও নোয়াখালীর সেনবাগ (১৯.৬০)।

অপরদিকে যেসব উপজেলায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে সেগুলো হলো-বাগেরহাটের ফকিরহাট, খাগড়াছড়ির দিঘিনালা ও পানছড়ি, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল, দিনাজপুরের কাহারোল ও বোচাগঞ্জ এবং নওগাঁর পোরশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *