ব্যস্তময় জীবনকে সহজ করতে বিশেষ কিছু টিপস

ব্যস্তময় জীবনকে সহজ করতে বিশেষ কিছু টিপস

লাইফস্টাইল

জুন ২৭, ২০২৪ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আমাদের এই জীবন বড়ই ব্যস্তময়। আর তাই জীবনটা তত সহজও নয়। কিন্তু এই ব্যস্তময় জীবনকে সহজে পরিচালনা করতে আমাদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে বিশেষ কিছু টিপস জানা জরুরি।

আর এই টিপসগুলো ফলো করে জীবনকে সহজ ও ঝামেলা মুক্ত করা সম্ভব। যেমন-

১। ভাত রান্না করার আগে কিছুক্ষণ চাল ভিজিয়ে রাখুন এতে ভাত অনেক ঝরঝরা হবে।

২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।

৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোনো দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভেজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।

৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ চলে যাবে।

৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।

৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।

৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।

৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।

৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।

১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।

১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।

১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোনো গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকান অবধি জ্বাল করুন।

১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।

১৪। বাসনকোসনে কোনো কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।

১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।

১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান ২ ভাগে ভেঙে যাবে।

১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভালো ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।

১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।

২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।

২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার স সঙ্গে কফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।

২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেওয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।

২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবণ দিন। তাহলে আর তেল ছিটবে না।

২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।

২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।

২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।

২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।

৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *