বেড়েছে পোশাক রফতানি, বেশি ইউরোপে

বেড়েছে পোশাক রফতানি, বেশি ইউরোপে

অর্থনীতি স্লাইড

মে ১৪, ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ণ

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত মোট পোশাক রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মোট রফতানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।রফতানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, এই পোশাক রফতানির মধ্যে ১৯.২০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যা মোট রফতানির ৪৯.৭৮ শতাংশ । ৬.৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি করা হয়েছে, যা মোট রফতানির ১৮.০১ শতাংশ। কানাডার শেয়ার ছিল ৩.১৯ শতাংশ এবং মোট ১.২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক কানাডায় রফতানি হয়েছে এবং ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে, যার শেয়ার ছিল ১৮.১৬ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ের মধ্যে ইইউতে রফতানি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে ইইউ অঞ্চলের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫.৫৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

ফ্রান্স ও স্পেনে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ছিল যথাক্রমে ২.৪০ বিলিয়ন ডলার ও ২.৯৫ বিলিয়ন  ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ২২.২১ শতাংশ এবং ১৬.৬৯ শতাংশ। ইতালিতেও  ৪২.৪০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা ছিল এবং ১.৮৫ বিলিয়ন  ডলারে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে রফতানি বছরওয়ারিভাবে যথাক্রমে ৪৬.৪৩ শতাংশ এবং ১৭.৫৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ৭.১৩ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অধিকন্তু যুক্তরাজ্য এবং কানাডা উভয় বাজারে রফতানিতে যথাক্রমে ১০.৮৮ শতাংশ এবং ১৬.০৯ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ৩০.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো প্রধান বাজারগুলোতে আমাদের রফতানি ছিল যথাক্রমে ১.৩২ বিলিয়ন, ৯৬১.৩০ মিলিয়ন, ৮৮৯.০৬ মিলিয়ন এবং ৪৭৭.৮১ মিলিয়ন ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *