স্বাস্থ্য ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের দাপট কমতে শুরু করেছে। ডেলটা ও ওমিক্রন ধরনের প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ও চতুর্থ ডোজ অনেক দেশে দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বিশ্বজুড়ে রোববার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেক কমেছে।
রোববার (২২ মে) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮২২ জনের। আগের দিন শনিবার (২১ মে) করোনায় মৃত্যুর এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৬০। এছাড়াও এ সময় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৭৪৭ জন। শনিবার এ সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৬ জন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৫ জন। এ ভাইরাসে মৃত্যুর মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯২। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৮ জন।
সংস্থাটি থেকে আরও জানা যায়, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫৯ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ২৮ হাজার ৯০২ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৪৮।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার ২৮ জন এবং মোট মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৭ জন।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৫ জনের। আর মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮০ জন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার ৩১৭ জনের। আর সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৯ জন।
যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।