বিরল রোগের সঙ্গে লড়াই সেলিন ডিওনের

বিরল রোগের সঙ্গে লড়াই সেলিন ডিওনের

বিনোদন

আগস্ট ৬, ২০২৩ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ফরাসি-কানাডিয়ান সংগীত তারকা সেলিন ডিওন। সংগীত জগৎ থেকে আড়ালেই রয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি তার বোন ক্লাউডেট গায়িকার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তথ্য জানিয়েছেন। বিরল রোগের সঙ্গে কঠোর লড়াই করছেন সেলিন। খবর ডেইলি মেইল ও মার্কার।

এদিকে খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে ২০২৩-২৪-এর বিশ্বব্যাপী নির্ধারিত সব লাইভ শো বাতিল করেছেন। জানিয়েছেন বিরল স্নায়ুবিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ায় সফর করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নন তিনি।

গত বছর জানিয়েছিলেন, স্টিফ-পারসন সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তখন থেকেই মূলত স্তব্ধ হয়ে আছেন ‘মাই হার্ট উইল গো অন’খ্যাত টাইটানিকের এ কণ্ঠশিল্পী।

গত বছরের ডিসেম্বরে, সেলিন ডিওন তার আবেগপূর্ণ ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে বলেছিলেন— ওই ব্যাধির কারণে তার পেশিতে খিঁচুনি হয়। আর তাই তিনি যেভাবে গান গাওয়ায় অভ্যস্ত, সেভাবে তার ভোকাল কর্ড ব্যবহার করতে পারেন না। সে কারণে লন্ডন, ডাবলিন, প্যারিস, বার্লিন, আমস্টারডাম, স্টকহোম ও জুরিখের শোগুলো পিছিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে সেই শোগুলো পুরোই বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, ‘শক্তি ফিরে পেতে আমি কঠোর পরিশ্রম করছি।’ কবে মঞ্চে ফিরবেন সেটাও অনিশ্চিত।

সেলিন ডিওন বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের একজন। ‘টাইটানিক’ সিনেমার বিখ্যাত গান ‘মাই হার্ট উইল গো অন’-এর জন্য সেরা গানের বিভাগে অস্কার পেয়েছিলেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরেই নানা কারণে সংগীতচর্চা থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন। দীর্ঘদিন তার স্বামী রেনে অ্যানজেলিল ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাকে নিয়ে বেশ কিছুটা সময় ব্যস্ত ছিলেন গায়িকা। এর পর রেনের মৃত্যু তাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। সেই শোক না কাটতেই সেলিনের জীবনে ঘটে যায় আরেক দুর্ঘটনা। মারা যান তার ভাইও। দুই শোক কাটিয়ে আবার গানের জগতে ফিরছিলেন গায়িকা।

পশ্চিমে সেলিন ডিওনকে বলা হয় ‘পাওয়ার ব্যালাডের রানি’। চমৎকার কণ্ঠের অধিকারী এ শিল্পী পপ, রক, আরঅ্যান্ডবি, গসপেল এমনকি ক্ল্যাসিকেলেও দক্ষ। তার রেকর্ডগুলো ইংরেজি ও ফরাসি দু-ভাষায়ই হয়েছে। যদিও তিনি স্প্যানিশ, ইতালীয়, জার্মান, লাতিন, জাপানি এবং চীনা ভাষায় গাইতে পারেন।

১৯৯০ সালে প্রকাশিত প্রথম ইংরেজি ভাষার অ্যালবাম ‘ইউনিসন’ তাকে একজন প্রকৃত শিল্পীর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত ‘কালার অব মাই লাভ’ তাকে পপ গানের জগতে সুপারস্টারের মর্যাদা দেয়। তার বেস্টসেলিং তালিকায় থাকা অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ফলিং ইনটু ইউ, লেটস টক অ্যাবাউট লাভ বিশ্বব্যাপী ৩ কোটিরও বেশি বিক্রি হয়। তার কানাডীয় ও ফরাসি ভাষার অ্যালবামগুলোও দারুণ ব্যবসা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *