বাবার ৪০ বছর পর একই বিভাগে নোবেল পেয়ে ইতিহাস গড়লেন ছেলে

বাবার ৪০ বছর পর একই বিভাগে নোবেল পেয়ে ইতিহাস গড়লেন ছেলে

আন্তর্জাতিক

অক্টোবর ৪, ২০২২ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

বাবা মেডিসিন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন ১৯৮২ সালে। ৪০ বছর পর, ২০২২ সালে ওই একই বিভাগে নোবেল পেলেন ছেলে এসভান্তে পাবো। সোমবার তার নাম ঘোষণা করেছে সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি।

তার বাবা কার্ল সিউন ডেটলফ বার্গস্ট্রমও মেডিসিন বা ফিজিওলজি বিভাগেই নোবেল পেয়েছিলেন। নোবেলের ইতিহাসে বাবা-ছেলের পুরস্কার জয় এই প্রথম নয়।

নোবেল ফাউন্ডেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাবো জানিয়েছেন, তার জীবনে সব থেকে বড় অনুপ্রেরণা তার মা কারিন পাবো। তিনি রসায়নবিদ ছিলেন। পাবো স্পষ্টই জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠতা ছিল না তার। বরং মায়ের অনেক কাছের ছিলেন। যদিও বাবার কাজ বরাবর আকর্ষণ করেছে তাকে।

বার্গস্ট্রমের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানী পাবোর বাবা। এই বিষয়টি থেকেও একটি শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজায়ী। কী সেই শিক্ষা? পাবোর কথায়, নোবেলজয়ীরাও আসলে সাধারণ মানুষই হন।

এর আগে পদার্থবিদ্যায় ১৯২৫ সালে নোবেল পেয়েছিলেন মান সেগবান। ১৯৮১ সালে ওই একই বিভাগে নোবেল পান তার ছেলে কাই। ১৯৫৯ সালে মেডিসিন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন আর্থার কোরবার্গ। ২০০৬ সালে রসায়ন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন তার ছেলে রজার।

পাবোর জন্ম সুইডেনে। আজকের মানব প্রজাতির বিলুপ্ত পূর্বসূরি ছিল নিয়ানডারথাল। সেই নিয়ানডারথালের জিনোম পরীক্ষা করেছেন পাবো। বর্তমান মানব প্রজাতির আর এক পূর্বসূরি হোমিনিন নিয়েও গবেষণা করেছেন এই সুইডিশ বিজ্ঞানী। গবেষণায় তিনি জানতে পেরেছেন, ওই বিলুপ্ত প্রজাতি থেকে জিন ট্রান্সফার হয়েছে বর্তমান মানব প্রজাতির শরীরে।

কী ভাবে হয়েছে, তার প্রভাব কী, এ সব আজকের পরিস্থিতিতেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন পাবো। সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ যন্ত্র কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা-ও এই গবেষণার সময় আরো ভাল ভাবে বুঝতে পেরেছেন বিজ্ঞানী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *