অক্টোবর ২৮, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
জয়ন্ত চক্রবর্তী সজীব (নিজস্ব প্রতিনিধি)
২২ অক্টোবর ২০২২ শনিবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশে জেলা/মহানগর,থানা/উপজেলা/পৌরসভায় সকাল- সন্ধ্যা গনঅনশন ও আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্বরে এই সমঅধিকার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য দলে দলে যোগদান করেছে ঢাকার অন্তর্গত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ এর বিভিন্ন থানা ইউনিট। এবং বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের ঢাকার অন্তর্গত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ইউনিট।
এই গণঅনশন ও আন্দোলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বিশিষ্ট সভাপতি ড,নিম চন্দ্র ভৌমিক,নির্মল রোজারিও, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র চন্দ্র নাথ।
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, বিশিষ্ট সাংবাদিক বাসুদেব ধর,বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জে এল ভৌমিক,মিলন কান্তি দত্ত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল চ্যাটার্জী,এড.তাপস পাল,এড.শ্যামল কুমার রায়,শ্রী রবীন্দ্রনাথ বসু, পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি পঙ্কজ কুমার সাহা,সাধারণ সম্পাদক তাপস কান্তি বল, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কাজল কুমার দাস ও সদস্য-সচিব শিপন বাড়াইক।
উক্ত গণঅনশন ও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
এবং উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ” সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার আহ্বায়ক দীপঙ্কর চন্দ্র শীল সহ অন্যান্য নেতারা।
২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারী দলের দেওয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই গণঅনশন ও আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে।
সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিসম্মুহ :১ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন। ২ বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন। ৩ দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ। ৪ জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন । ৫ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযত বাস্তবায়ন। ৬ পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভুমি কমিশন আইনের যথাযত বাস্তবায়ন। ৭ সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভুমি কমিশন গঠন।