বাঁ চোখ লাফানো কি সত্যিই অশুভ?

বাঁ চোখ লাফানো কি সত্যিই অশুভ?

লাইফস্টাইল স্পেশাল

জুলাই ১৭, ২০২৪ ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

অনেকেই চোখের পাতা লাফানোর সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ চোখের পাতা লাফাচ্ছে আর আপনি ভাবছেন বিপদের লক্ষণ। আসলেই কি তাই? চিকিৎসা বিদ্যা বলছে, এটি একটি কুসংস্কার। কিন্তু চোখের পাতা কেন লাফায়, সেই কারণটা অনেকেই জানেন না।

প্রধানত পেশীর সংকোচনের ফলে চোখের পাতা লাফায়। কিছুক্ষণ পর সমস্যাটি আপনা-আপনি ভালোও হয়ে যায়। ডাক্তারি ভাষায় এই রোগটির নাম Myokymia। দিনে দু-একবার হলে সেটি স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু সেটা মাত্রাতিরিক্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

চোখের পাতা কাঁপা বা লাফানোর পেছনে ৭টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ আছে। তা হলো-

মানসিক চাপ: কঠিন মানসিক চাপে থাকলে শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।

ক্লান্তি: পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোনও কারণে ক্লান্ত থাকলে চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। এর জন্য দরকার ঘুম।

অ্যালার্জি: যাদের চোখে অ্যালার্জি আছে, তারা অনবরত চোখ চুলকান। ফলে চোখের পানির সঙ্গে হিস্টামিনও নির্গত হয়। এর কারণে চোখ কাঁপে বলে অনেকে মনে করেন।

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল: বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে। তাই এসব বর্জন করাই শ্রেয়।

চোখের শুষ্কতা: কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অতিরিক্ত অ্যালকোহলের প্রভাব, চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স ঠিকমতো না বসানো কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখের মধ্যেকার নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতার কারণে চোখের পাতা লাফায় বলে চক্ষু চিকিৎসকরা মনে করেন।

পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা: পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকেও চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখা হয়। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত কারণে এমনটি হতে পারে।

দৃষ্টি সমস্যা: দৃষ্টিগত কোনো সমস্যা থাকলে চোখের ওপর চাপ পড়ে। অনেকক্ষণ টিভি, কম্পিউটার, মোবাইলফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

কী করবেন?

ভয় পাবেন না। ভেবে দেখুন, আপনি কি অতিরিক্ত চাপে আছেন? চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে কাজ থেকে একটু বিরাম নিন। লম্বা একটা ঘুম দিন। চা-কফির পরিমাণ কমিয়ে দিন। অ্যালকোহল ও ধূমপান বর্জন করুন। বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন, যাতে বাতাসের প্রবাহ কিংবা বাতাসের দূষণকারী পদার্থ সরাসরি চোখের সংস্পর্শে না আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *