বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। সরকার এখানে ভর্তুকি দেবে। বড় বিষয় হলো, বর্জ্যের একটা ব্যবস্থা হবে। ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। প্ল্যান্ট থেকে দিনে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশবাদীরা অনেক কিছুই বলেন। কয়লার মাধ্যমে উৎপাদন বন্ধই আছে। এখন উনারা কী বলবেন? পরিবেশবাদীদের উচিত আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া। কয়লা থেকে উৎপাদন বন্ধ রেখে দেখছি কী হয়। তারা বলতেন- কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সুন্দরবনসহ অনেক কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিনের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও সেটি সামাল দেওয়া গেছে। সামনে পরিস্থিতি আরো ভালো হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, এই প্ল্যান্টের জন্য আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের কাছে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ ব্যয় ৩৬০ কোটি টাকা। এছাড়া আর কোনো ব্যয় নেই। চীনের প্রতিষ্ঠান ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এ প্রকল্প পরিচালিত হবে।
উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়, যা থেকে তিন হাজার টন বর্জ্য প্ল্যান্টে দেওয়া হবে। উত্তর সিটি প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টন বর্জ্য সরবরাহ করতে না পারলে জরিমানা দিতে হবে।