এ আর রাজ
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর আদর্শ ও দর্শন প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বলেন, তিনি এই সংগ্রামী জীবনের যোগ্য সঙ্গ ও প্রেরণা পেয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছ থেকে।
২৭ আগস্ট, শনিবার রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকা আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস রহমান এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদ এবং গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির ট্রেজারার এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বক্তব্য দেন। গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক সাবেক সচিব শৈলেন্দ্র মজুমদার সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের কষ্ট লাঘবে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সর্বদা বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন।
তিনি বলেন, শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য সুদীর্ঘ ২৩ বছর বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, দেশের প্রয়োজনে তিনি পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে মাতৃভূমির মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করে নবীনদেরকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্যোগী হতে আহবান জানান স্পিকার।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ কবির হোসেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেই ভয়াল কালরাত্রিতে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসিকতায় এটা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে মূল ব্যক্তি যারা ছিল তাদের বিচার আজও হয়নি। তাদের বিচার হলেই আমি কিছুটা শান্তি পাবো।
তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে মূল ব্যক্তিদের বিচার করে সর্বোচ্চ সাজার জোর দাবি জানান।
ফারুক খান এমপি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না হলে আজ আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অদম্য সাহসিকতায় আজ আমরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ঘাতকদের বিচার করতে পেরেছি। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ। পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তিনি চৌদ্দ বছর জেল খেটেছেন। দুই-দুই বার তাকে ফাঁসির মঞ্চে ঝোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও তিনি আপোষ করেননি। এদেশকে স্বাধীন করেছেন।
এ আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মওলানা মুফতি মোতাহার হোসেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।