পুতিন ‘ইউক্রেনখেকো কুমির’: বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক স্লাইড

এপ্রিল ২২, ২০২২ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ

‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন একটি কুমিরের মতো, যেটি প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনকে চিবিয়ে খাচ্ছে’ – এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভারত সফরের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

এছাড়াও তিনি এমন কোনো পরিস্থিতি দেখছেন না, যাতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে ইউক্রেন। পশ্চিমারা কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

শান্তি আলোচনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বরিস জনসন বলেন, পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের বৈঠক কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ তার ওপর যেমন আস্থা রাখা যায় না, তেমনি তার কৌশলের ওপরও। এটি খুবই পরিষ্কার, পুতিন ইউক্রেনের যতটা সম্ভব গিলে খেতে চাচ্ছেন। এরপর নিজের শক্ত অবস্থান থেকে তিনি কিছুটা আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন। কিংবা কিয়েভে তিনি ফের হামলা চালাতে পারেন।

কাজেই কোনো অবস্থাতেই ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকার রাশিয়ার ওপর আস্থা রাখতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বরিস জনসন বলেন, কীভাবে আপনি একটি কুমিরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন, যখন সেটি আপনার পা তার চোয়ালের মধ্যে পুরছেন।

আলোচনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত একান্ত ইউক্রেনীয়দের ব্যাপার জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পুতিনকে আমি কোনো বৈধ আলোচক হিসেবে দেখছি না। প্রতিরোধের জন্য ইউক্রেনীয়দের প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে জি৭ দেশগুলোর নেতারা একমত পোষণ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন ভারত সফররত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ইউক্রেন সংকট নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করতেই তিনি এই সফর করেন। ভারতের সঙ্গে গভীর বাণিজ্য সম্পর্ক চাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানান বরিস জনসন।

রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করছে ভারত। এছাড়া মার্চের শুরুতে জাতিসংঘে ইউক্রেনে পুতিনের সামরিক অভিযান নিয়ে নিন্দা জানানো থেকেও বিরত ছিল তারা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বুচায় যা ঘটেছে, ভারত তার নিন্দা জানিয়েছে। তারা যা বলেছে, তাতে জোর ছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্য বিশেষভাবে ঠাহর করতে চায় যে, ভারতের সঙ্গে যেমন রাশিয়ার সম্পর্ক আছে, তেমনি আমাদের সঙ্গেও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ককে আরও প্রাণবন্ত করতে হবে।

সূত্র: আরটি ও গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *