পাপ থেকে বাঁচার পাঁচ কৌশল

পাপ থেকে বাঁচার পাঁচ কৌশল

ধর্ম

জানুয়ারি ৩১, ২০২৪ ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নানারকম পাপকর্মে জড়িত হয়ে যায়। এমন বহু পাপ আছে একটু সর্তক থাকলে এড়িয়ে চলা যায়। যেমন-

পরনিন্দা, পরচর্চা, গীবত

কেউ আপনার সামনে পরনিন্দা, পরচর্চা, গীবত করছে- আপনি বুঝতে পারছেন এটা গীবত। সে চাইছে আপনিও তাতে অংশ নিন। তাল মিলান। দু-চারটা দুর্নাম যোগ করে দিন। আপনি তখন চুপ থাকুন। প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে দিন অথবা কেটে পড়ুন এখান থেকে।

গীবতের চেয়ে ভয়াবহ গুনাহ আর কী হতে পারে। আল্লাহতায়ালা বলেন, আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না এবং একে অপরের অসাক্ষাতে নিন্দা কর না। তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে চাইবে? প্রকৃতপক্ষে তোমরা তো এটাকে ঘৃণ্যই মনে কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী পরম দায়ালু। (সুরা হুজুরাত-১২)।

কথা কম বলুন

মানুষ সবচেয়ে বেশি পাপ করে মুখ দিয়ে। কম কথা বলার চর্চা করুন। যতটুকু প্রয়োজনীয় ততটুকু কথা বলুন। বেশি কথা বললে ভুল হতে পারে। মুখ ফসকে খারাপ শব্দ বের হয়ে যেতে পারে। আল্লাহ বলেন, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তার জন্য তৎপর প্রহরী তার কাছেই আছে। (সুরা: কাফ, আয়াত: ১৮)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দাকে দুনিয়াবিমুখ ও স্বল্পভাষী দেখবে তখন তার সঙ্গে উঠাবসা করো। কেননা সে হেকমতপ্রাপ্ত।

অনর্থক কাজ পরিহার করুন

যে কাজে কোনো সুফল নেই তা পরিহার করা উত্তম। প্রাত্যহিক রুটিন এমন হোক। যেখানে সব কাজের কম-বেশি সার্থকতা থাকবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অর্থহীন কথা বা কাজ ত্যাগ করা। (তিরমিজি, হাদিস: ২৩১৮)।

হিংসা পরিহার করুন

হিংসার পরিণাম ভয়াবহ। তাই হিংসা বর্জন করুন। পবিত্র কোরআনে সুরা ফালাকের ৫নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, আর আমি আশ্রয় চাই হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।

রাসুল (সা.) বলেছেন, সন্দেহ নেই, হিংসা নেক আমলগুলোর নুর ও আলোকে নিভিয়ে দেয়’- (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০৬)। এছাড়াও হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) হতে বর্ণিত নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পরে বিদ্বেষ করো না, হিংসা করো না, ষড়যন্ত্র করো না ও সম্পর্ক ছিন্ন করো না। বরং তোমরা আল্লাহর বান্দা হয়ে যাও, পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও’- (বুখারি: ৬০৭৬, মুসলিম: ২৫৫৯, জামে তিরমিজি: ১৯৩৫)।

পরিবেশ পরিবর্তন করুন

মানুষ অভ্যাসের দাস; যা দেখে সে তাই করে। মানুষের ওপর পরিবেশের প্রভাব পড়ে। যেমন কেউ মসজিদে গেলে ইবাদতের আগ্রহ বাড়ে। বাজারে গেলে আড্ডা দেয়। কবরস্থানে গেলে মৃত্যুর কথা স্মরণ করে। তাই সব সময় ভালো পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। তাহলে সহজেই বেঁচে যাবেন বহু রকমের গুনাহ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *