নৌকা ডুবির দায় এড়াতে পারবে না উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগ

দেশজুড়ে

জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনে নৌকা ডু্বির দায় এড়াতে পারবেনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

জানা গেছে,বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর যেন কার আজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মনোনিবেশ করেন উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগের কমিটি গঠনে। তার সেই লক্ষ পূরণ করতে গিয়ে খোঁজে বের করেন নাসিরনগর সদরের জাতীয় পার্টি নেতার ছেলে দক্ষিন সিংহগ্রাম বিজয় লক্ষী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক নির্মল চৌধুরী ও কুন্ডা মহিলা দল নেত্রীর ছেলে নারী কেলেংকার উত্তর ঘরের ভাবীর দেবর নামে খ্যাত সাখাওয়াত হোসেনকে। পরে নির্মলকে সভাপতি আর সাখাওয়াত কে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় স্বেচ্চাসেবকলীগের উপজেলা কমিটি। কমিটি গঠনের পর তারা জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে। এতে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে থাকে। সাখাওয়াত হোসেনের নারী কেলেংকারীর বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও বরাবরেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল।সাখাওয়াতের নারী কেলেংকারীর অডিও ক্লিপ এ প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।

দলীয় পদ বিতরণে অনিময় ও অনেকটা নৌকা ডুবির কারন বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মী আর সতেচন মহল। পার্শ্বতর্বী
বুড়িশ্বর,গোকর্ণ,চাতলপাড়ের মত বড় বড় ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফান্দাউক ইউনিয়নের জনশুন্য অসীম কুমার পালকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাহুল রায়কে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তাছাড়াও কুন্ডা ইউনিয়নের বিতর্কিত মোঃ লতিফ হোসেনকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের নারী কেলেংকার সাখাওয়াত হোসেনকে স্বেচ্চাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তাছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে একই পরিবারে বাপ,ছেলে,ভাই,ভাতিজা চারজনকে চার পদে বসানোর কারনে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ফেল করানোও অবশ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা ডুবিতে অনেকটা প্রভাব ফেলেছে বলে ধারনা করছে সচেতন মহল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজ দলের নৌকার প্রার্থী বুড়িশ্বর ইউনিয়নের এটিএম মোজাম্মেল হক সরকার মুকুল,গোর্কণ ইউনিয়নের ছোয়াব আহম্মেদ হৃতুল,কুন্ডা ইউনিয়নের মোঃ ওয়াছ আলী,গোয়ারনগর ইউনিয়নের মোঃ কিরণ মিয়াকে নৌকা প্রতিক পাওয়ার পরও সুকৌশলে ফেল করানো হয়। এ নিয়ে কিরণ মিয়া অবশ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগও করেন। তাছাও মিথ্যা আর হয়রানী মুলক মামলাও নির্বাচনে প্রতিফলনের জন্য কমদায়ী নয় বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতি বিশ্লেষক,ভুক্তভোগী দলীয় নেতাকর্মী আর সাধারণ জনতা। তাই সব কিছুর প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *