নোয়াখালীর প্রাইম হাসপাতালের মালিক মারলো ইমামকে: ভিডিও ভাইরাল

দেশজুড়ে

মে ১, ২০২৩ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী,

এবার ইমামকে মারধর করছেন নোয়াখালীর প্রাইম হাসপাতালের মালিক ডা. মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী শামিমা জাহান সুইটি।

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে মসজিদের একজন ইমামকে মারধর করেছেন প্রাইম হাসপাতালের মালিক ডা. মাহবুবুর রহমান ও তার স্ত্রী শামিমা জাহান সুইটি। এঘটনার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাইজদী প্রাইম হাসপাতালের সামনে ইসলাম ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে সোমবার দুপুরে ইমাম মাহমুদুল হাসান সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলামের কক্ষে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহর উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা করা হয়।
ভুক্তভোগী হাফেজ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান হাউজিং এস্টেট এলাকার হাজী নূর ইসলাম মসজিদের ইমাম। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের হাফেজ আবদুল মতিনের ছেলে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শামিমা জাহান সুইটি ফার্মেসিতে ঢুকে প্রথমে ইমাম মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে সুইটি ধীরে ধীরে ইমামের কাছে গিয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। মারধর করতে করতে তাকে ফার্মেসির ভেতরে নিয়ে যান সুইটি।
জানা গেছে, গতকাল সকালে স্থানীয় হাজী নূর ইসলাম মসজিদের ইমাম হাফেজ মাহমুদুল হাসান মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রাইম হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুবুর রহমান মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার গায়ে ধুলো পড়ার অভিযোগে ইমামকে গালমন্দ করার পর একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে ছাড়িয়ে নেন।

ওই ঘটনার পর বিকেলে মাহাবুবুর রহমানের স্ত্রী প্রাইম হসপিটালের চেয়ারম্যান শামিমা জাহান সুইটি হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিতে পেয়ে মাহমুদুল হাসানকে আবার মারধর করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ‘প্রাইম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহবুবুর রহমানের দ্বারা বিভিন্ন সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, রিকশাচালক,পথচারী ও হাসপাতালের কর্মচারীরা লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হয়েছেন। ওই ঘটনাগুলোর কোন প্রতিকার হয়নি।’

অভিযুক্ত শামীমা জাহান বলেন, ‘রোববার সকালের ঘটনা আপনারা দেখেননি? রাতের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে আমার অন্যায় হলে ক্ষমা চাইবো। কিন্তু আমি সেটা মনে করি না। তবুও বিবেচনা করব।’

নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, ‘তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছি। উভয়পক্ষ আইনগত প্রতিকার না চেয়ে সমঝোতা করে নিয়েছে। তবুও কারও কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *