নাসিরনগরে বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রেপ্তার ১৭

রাজনীতি

নভেম্বর ১, ২০২৩ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ

 

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় কুলিকুন্ডা মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি,ছাত্রদল,যুবদল,কৃষক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।তাছাড়াও ঢাকায় আন্দোলন করতে গিয়ে পল্টন থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা নাসিরনগরের কৃতিসন্তান কাজী আজমান মিয়া পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন।থাকে বর্তমানে সৈয়দ সাজ্জাদমোর্শেদ সোহান,আসাদুল করিম রানার নেতৃত্বে ডাঃ পাভেলের তত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সন্দেহজনক ব্যাক্তিদের বাড়ি বাড়ি চিরুনী অভিযান পরিচালনা করছেন।পুলিশের ভয়ে অনেক বি,এন,পি নেতাকর্মীরাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
গত রবিবার রাতে পুলিশের এস,আই লিটন ঘোষ বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাতনামা আরও ১২০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।পুলিশ এ পর্যন্ত এ মামলায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার সকালে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা এ তথ্য জানিয়েছেন।জানা গেছে রোববার ভোরে বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল ও কৃষকদলের প্রায় দেড়শতাধিক নেতাকর্মী কলেজ মোড়ে কটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় যানচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।এ সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরক দ্রব্য ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেতে থাকে। এ সময় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। গত দুই দিনে বিস্ফোরক দ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ উপজেলা বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ও জানান ওসি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নাসিরনগর-সরাইল মহাসড়কের কুলিকুন্ড মোড়ে প্রায় শতাধিক বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যানচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে তারা। এ সময় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। পরে তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই মো কামরুল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, লুৎফুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আল আমিন ও নিজাম।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানান‘এক সপ্তাহ যাবৎ তিনি ঢাকায় আছেন। কীভাবে আমার উপস্থিতিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়; সেটা আমার জানা নেই।তিনি বলেন অবৈধ সরকারের সাজানো নাটকে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *