জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ ১:৫৫ অপরাহ্ণ
পবিত্র কুমার দাস,
বলা হয়ে থাকে স্বাস্থ্যই সম্পদ। স্বাস্থ্য নামক সম্পদটি অন্য যেকোনো ব্যক্তগত সম্পদের চাইতে কম মূল্যবান নয়। স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, শারীরিক ব্যায়াম ইত্যাদি। তারপরও স্বাস্থ্য বিভিন্ন কারনে অসুস্থ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে মানুষ শরপান্ন হয় স্থানীয় হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর পরীক্ষা উপর নির্ভর করে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন । তারাকান্দা উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটডোর স্বাস্থ্য সেবা চালু হয় বছর খানেক। তারপরও স্বাস্থ্য সেবায় সিংহভাগ মানুষ সেবা নিয়ে থাকে স্থানীয় ভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। যাদের মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তারাকান্দা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর মধ্যে অন্যতম রোগ নিরাময় ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজি ল্যাব, লিজা, সৃষ্টি, পপুলার,নিরাপদ, নিউ রোগ নিরাময়, বন্ধন, সাওয়াদ ইত্যাদি নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরেজমিনে দেখা যায় উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর মধ্যে এক্সরে করার ব্যবস্থা নেই বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের। সেই প্রতিষ্ঠান গুলো বাহিরের অন্য প্রতিষ্ঠানথেকে এক্সরে করিয়ে নিয়ে আসেন যার মাধ্যমে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। কোনো কোনো জায়গায় মালিক নিজেই বনে যান এক্সরে টেকনোলজিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। একজন মাত্র এক্সরে টেকনোলজিস্ট রয়েছে উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্য।এছাড়া পরীক্ষা নিরীক্ষার মান যাচায়ের জন্য নেই উপজেলার কোনো তদারকি কমিটি, অনেকসময় দেখা যায় নিম্ন মানের রিএজেন্ট দিয়ে করা হচ্ছে পরীক্ষা। পরীক্ষার পর নিয়মিত জীবাণু মুক্ত(Autoclave ) করা হয় না টেস্ট টিউব গুলো যাতে সংক্রামনের আশংকা বাড়ে।ঋরিনা বেগম(৩০) নামে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী শীর্ষ সংবাদকে বলেন স্বাস্থ্য সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর আরও জোড় দেওয়া প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারী অনস্বীকার্য।