শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া বিশ্ব নেতাদের চিঠির হতাশা জনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘মুক্তবাকের বিশ্বে যে কেউ যা কিছু বলতে পারেন। সেদিকে আমি কমেন্ট করতে চাই না। যেটা বলতে চাই। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ অতীতেও ছিল না, আর থাকবেও না। বিচার বিভাগ সম্পুর্ন স্বাধীন। স্বাধীন বিচার বিভাগ যেটা মনে করেন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে… কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান এটা অতীতে কখনও শোনা যায়নি। আমি মনে করি না যারা এই আবেদনে সামিল হচ্ছেন তারা তাদের রেপুটেশনের প্রতি প্রোপার জাস্টিস করছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারকে তারা অবজার্ভ করতে পারেন আমরা এটা স্বাগত জানাব। একজন ব্যক্তি যিনি ব্যবসার সাথে জড়িত। যিনি শত শত, হাজার হাজার মানুষকে নিয়োগ করেছেন, যার প্রোপার্টি আছে, তার তো একটা লিগ্যাল ইস্যু থাকতে পারে। তার মানে এই না যে, সে অপরাধী হয়েই যাবে অথবা তদন্ত করাই যাবে না। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি কি আছে যার নামে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা তদন্তই করা যাবে না বা কোর্টে নেওয়া যাবে না। এটা হতাশা জনক যে অব্যাহত ভাবে একজনকে প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য… কিন্তু আমরা বুঝতে পারি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক যে মর্যাদা হয়েছে এটা শুধু গুনের কারণে নয়, এর পেছনে অনেক বিনিয়োগও আছে। নো ম্যাটার হোয়াট, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার বিভাগই সিদ্ধান্ত নেবেন এবং বিচার চলবে। আমরা এটা নিয়ে বিচলিত বা চিন্তিত বা চাপ অনুভব করছি না।’
বিশ্ব নেতাদের আশ্বস্ত করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা তাদের এটাই বলবো, বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন, তাদের চিন্তার কিছু নেই। দে মাস্ট হ্যাব দ্যা গার্টস এন্ড কারেজ টু এক্সেপ্ট দ্যা ভার্ডিক্ট অব দ্যা কোর্ট।’
ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক প্রক্রিয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন ১৭৫ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। এতে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, আমাদের মনে হচ্ছে তাকে (ড. ইউনুস) লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস। এর আগেও ৪০ জন বিশ্বনেতা তার নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আপনার কাছে যে আবেদন করেছিলেন। এই চিঠিটি তার ওপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছে। আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আপনি অবিলম্বে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন।’